দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার, বাবা আর সৎমা মিলেই খুন করেছেন মেয়েকে! আলিপুরে নাবালিকা মৃত্যুতে চাঞ্চল্য

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আলিপুরে (Alipore Child Death) স্কুলছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ক্রমে বেড়েই চলেছে। সোমবার দীপাবলির দিন আলিপুরে একটি বাড়ির আলমারির ভেতর থেকে এক বছর দশেকের স্কুলছাত্রীর (Alipore Child Death) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এবার স্থানীয়রা আঙুল তুলেছেন মৃতা কিশোরীর বাবা এবং সৎ মায়ের দিকে। তাঁদের অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা নয়, খুন।

আলিপুরে নাবালিকার মৃত্যু (Alipore Child Death) ঘিরে বাড়ছে ধোঁয়াশা

প্রথমে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে এখন স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ করেছেন, খুন করা হয়েছে স্কুলছাত্রীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা (Alipore Child Death) কিশোরীর আরও এক পরিচয় রয়েছে। তিনি আরজিকর কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি। তবে মৃতা কিশোরীর মায়ের মৃত্যুর পর সঞ্জয়েরই আরেক বোনকে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন তার বাবা। অর্থাৎ কিশোরীর সৎমা তার মাসিও বটে।

Alipore child death case takes a big turn

সোমবার উদ্ধার হয় দেহ: সোমবার নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর তার সৎ মা দাবি করেন, তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেখতে পাননি প্রথমে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আলমারির দরজা খুলতেই দেখতে পান ভেতরে মেয়ের ঝুলন্ত (Alipore Child Death) দেহ। পুলিশ ডাকতে তাঁরা এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠান এসএসকেএম হাসপাতালে। এদিকে স্থানীয়রা গুরুতর অভিযোগ এনেছেন মৃতার (Alipore Child Death) বাবা এবং সৎ মায়ের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন : অভিনয় ছেড়ে পাকাপাকি বিদেশে সেটল, দীপাবলিতেই মা হওয়ার সুখবর দিলেন ‘উষসী’ রুশা

খুন নাকি আত্মহত্যা: স্থানীয়দের একটা বড় অংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই নির্যাতন করা হত নাবালিকাকে। প্রায়ই কান্নার শব্দ ভেসে আসত। বাবা এবং সৎ মা দুজনে মিলেই অত্যাচার (Alipore Child Death) করত মেয়েটির উপরে। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মেয়েটির বাবাই নাকি বলেছিলেন যে স্ত্রীকে অনুমতি দেওয়া আছে মেয়েকে শাসন করার।

আরও পড়ুন : বারাণসী-অযোধ্যার মতো ৪ টি আধ্যাত্মিক শহর ঘোরার সুযোগ, আকর্ষণীয় প্যাকেজ আনল IRCTC, খরচ কত পড়বে?

ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাবালিকার বাবা এবং সৎ মাকে ডাকা হয়। তখনই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে স্থানীয়রা। পুলিশের সামনেই মারধোর করা হয় মৃতার বাবা এবং সৎ মাকে। এদিকে প্রতিবেশীদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃতার সৎ মা দাবি করেন, তিনি মেয়েকে খুন করেননি। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ওঁরা সহানুভূতি কুড়াতেই এমন বলছেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা তদন্তে নেমেছেন। নির্যাতনের অভিযোগ থেকে সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।