তেড়ে আসছে কালবৈশাখী! আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রবল ঝড় বৃষ্টি ১২ জেলায়, কেমন থাকবে শহর কলকাতা?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Office) পক্ষ থেকে পূর্বাভাস দিয়ে জানানো হয়েছিল ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির (Rain) দেখা মিলবে। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে শুক্রবার সন্ধ্যা গড়াতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির দেখা মেলে। ঠিক তেমনই এবার কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন।

এক নজরে আজকের আবহাওয়া :

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩০.৪°সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২০.৩° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৭১%
বাতাস : ১৫ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৮৪%

কলকাতার আবহাওয়া : আকাশ আংশিক ভাবে মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৭৮ শতাংশ।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া : আজ সকালের মধ্যেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৩ মার্চ সোমবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আপাতত জেলাগুলির দিন ও রাতের তাপমাত্রা তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানা যাচ্ছে।

weather

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া : পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেগিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থা ১৩ মার্চ সোমবার সকালের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্দের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী কয়েকদিন জেলাগুলির দিন ও রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আসছে কালবৈশাখী : চৈত্র বৈশাখ মাসের চেনা ঝড় কালবৈশাখী (Kalbaisakhi Storm) আগামী সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াতে পারে বলে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। একটি অক্ষরেখা উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই অক্ষরেখার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের উপর পড়বে বলে মনে করছে মৌসম ভবন।

X