বাংলা হান্ট ডেস্ক : হাওড়া-রিষড়ায় অশান্তির (Howrah and Rishra Violence) পর পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসে কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু কেন্দ্রীয় দলকে রিষড়ায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টা তর্কাতর্কির পর কলকাতায় ফিরে আসেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। এরপরই হাওড়া শিবপুর ও রিষড়ার ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু হাওড়া পুলিস কমিশনাকরেটের সেই রিপোর্ট পরিপূর্ণ নয় বলেই মত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির।
রাজ্যে নেই গণতন্ত্রের শাসন। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। পুলিস-প্রশাসনের মধ্যে ছিল সমন্বয়ের চূড়ান্ত অভাব। রাজ্যের রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দেওয়া হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও রিপোর্ট দেওয়া হবে। অশান্তির জন্য মানবাধিকার কমিশনকে রিপোর্ট। রাজ্যপালের কাছেও যাবে রিপোর্ট। কাজে বাধা দেওয়ার কথা জানান হবে। সাংবাদিক বৈঠকে এমনই হাজারো অভিযোগের কথা জানাল কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘মামলাকারীর দাবি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে তার কোথাও উল্লেখ নেই। এটা কখনোই সম্ভব নয় যে ১০ মিনিটের মধ্যে কেউ পাথর নিয়ে ছাদে চলে গেল। পুরোটাই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। কারও উসকানি আছে কিনা, রাজ্যের পক্ষে সেটা তদন্ত করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা না এলে সেটা বের করা যাবে না।’
এদিন কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য ওম প্রকাশ ভ্যাস বলেন, ‘আমরা আর্তদের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি। এখানে হিংসার যা ছবি দেখলাম তাতে পরিষ্কার যে রাজ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে মানুষ।’
নরসিমা রেড্ডির দাবি, ‘আমি দেখলাম সিপিএম শান্তি মিছিল করেছে। অথচ আমাদের অনুমতি দেওয়া হল না। আমাদের যেতে দেওয়া হলনা। আটকে দেওয়া হল। আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছিলাম। আমরা কি এতটাই ভয়ংকর? রামনবমী উপলক্ষে এই রাজ্যের ঘটনাতে এসেছিলাম। সরকারকে অনেক সতর্ক থাকতে হত। পুলিস নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। যারা হিংসা ছড়াচ্ছিল, তারা পুলিসকে দেখে আরও সাহস পেয়ে গেছে। পুলিস আর্তদের গ্রেফতার করেছে। রাজ্যের প্রধান আমরা-ওরা ভাবে কথা বলেছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। গণতন্ত্রের জন্য এটা ঠিক নয়।’