বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জুন মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(mamata Banarje) । পাশাপাশি ১ তারিখ থেকে সমস্ত ধর্মীয় উপসনালয়গুলো খুলে দেওয়ার অনুমতিও দিয়েছে রাজ্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন। সেখানে কি আদৌ কোনও সুরক্ষাবিধি মানা হচ্ছে। একটা সিটে তিন জন করে আসছেন, গাদাগাদি অবস্থা। ট্রেনে এতগুলো মানুষ গাদাগাদি করে যেতে পারলে চায়ের দোকান, মন্দির, অফিস, জুটমিলও খুলুক।”
পাশাপাশি, জুন মাসের ১ তারিখ থেকে সমস্ত রাজ্যের সমস্ত উপাসনালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ধর্মীয় স্থানে ১০ জনের বেশী একসাথে ঢুকতে পারবেন না, করা যাবে না জমায়েতও। এর আগে কর্ণাটকের সরকার কেন্দ্রের কাছে উপাসনালয় গুলি খুলে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে রবিবার। ঐ দিনই সম্ভবত পঞ্চম দফার লকডাউন ঘোষনা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে। পঞ্চম দফায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করার কথা ভাবা হয়েছে মোদি সরকারের তরফে যার মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ন্ত্রিত ভাবে উপাসনালয় গুলি খোলা।
অনেকেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের সম্ভাব্য সেই পদক্ষেপের ইঙ্গিত পেয়ে আগেই ছাড়পত্র ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি বলেছেন, ট্রেনে গাদাগাদি করে যদি এতো লোক আসতে পারে, তা হলে মন্দির, মসজিদ খুলতে কী অসুবিধা। বরং এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে মানুষ একটু প্রার্থনা করার সুযোগ পাবে।
যদিও, ১ জুন থেকে বাংলায় রেল ও মেট্রো চালাতে রাজি হয় নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পাশাপাশি আরো ১৪ দিনের জন্য লকডাউন বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেছিল বাংলা। সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের ও ক্যাবিনেট সচিবের বৈঠকে এই কথাই জানাল বাংলার মুখ্য সচিব।