বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam), গরুপাচার ও কয়লাপাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) একসঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এই সব মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালীকে ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এখন বাংলায় উৎসবের সময়। কিন্তু এই উৎসবের মরশুমেও যাতে কোনওভাবে তদন্তে ঢিলেমি না আসে তার জন্য এবার সমস্ত ছুটিই বাতিল হল সিবিআই আধিকারিকদের। পুজোর মাঝেও জোর কদমে চলবে দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত।
রাজ্যে জাল বিস্তার করেছে কয়লা পাচার, গরু পাচার চক্র। শিক্ষক নিয়োগে নজিরবিহীন বেনিয়ম হয়েছে এমনটাও দাবি করেন বহু চাকরীপ্রার্থী। রাস্তায় নামেন তাঁরা। চলে অনশন বিক্ষোভ। মামলা হয় আদালতেও। একে একে কয়লাপাচার, গরুপাচার ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিবিআই। আদালতের নির্দেশ মেনে পুরোদমে তদন্তে ঝাঁপিয়ে পড়েন আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি-জেরা।
গরুপাচার মামলায় ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় বিএসএফ কমেন্ডেন্ট সতীশ কুমারকে। ওই বছরই ২ ডিসেম্বর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন সতীশ। এরপর ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে গরু পাচার মামলায় আত্মসমর্পণ করেন মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন তিনি। ২০২১ সালের মার্চে ইডি প্রথম দিল্লি থেকে বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করে। ২০২২ সালের ১০ জুন গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। বর্তমানে আসানসোল জেলে রয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে গরুপাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। বর্তমানে সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। কয়লাকাণ্ডের তদন্তে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে সিবিআই।
অপরদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি প্রথম গ্রেফতার করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পরে আবার সিবিআই তাঁকে নিজের হেফাজতে নেয়। একই মামলায় গ্রেফতার করা হয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন দুই সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে।