বাংলা হান্ট ডেস্ক: অবসরপ্রাপ্ত যে কোনো পেনশনভোগীদের (Pensioner) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি হল লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate)। এই সার্টিফিকেট না থাকলে পেনশন পেতে গিয়ে সমস্যা তৈরী হতে পারে। তাই যদি কোনো পেনশনভোগী প্রবীণ নাগরিকের (Senior Citizen) এখনও কোনো লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি না হয়ে থাকে, তবে তা যত দ্রুত সম্ভব তৈরী করে নেওয়া উচিত।
লাইফ সার্টফিকেট কেন জরুরি?
এই মুহূর্তে আমাদের দেশের কোটি কোটি EPFO সদস্য যারা এই ইপিএস স্কিমের মাধ্যমে পেনশন পান, তাদের বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে হয়। এই কারণেই প্রতি বছর এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের (ইপিএস) সদস্যদের একটি লাইফ সার্টফিকেট জমা দিতে হয়। যা বর্তমানে অনলাইনেও দেওয়া যায়।
কীভাবে ইপিএস সদস্যরা লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন?
পেনশনভোগী ইপিএস সদস্যরা পেনশন ডিস্ট্রিবিউটর ব্যাঙ্ক, কমন সার্ভিস সেন্টার, আইপিপিবি, ভারতীয় পোস্ট অফিস, পোস্টম্যান, উমং অ্যাপ বা ইপিএফও-এর মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: রেমাল মোকাবিলায় তৎপর পুরসভা, বাতিল হল কর্মীদের ছুটি! খুলল কন্ট্রোল রুম
লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা ?
১) যেসব প্রবীণ নাগরিকদের বয়স ৮০ বছরের বেশি তাঁদের জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়।
২) তবে ৬০-৮০ বছরের মধ্যে বয়স যাদেরসেই সমস্ত পেনশনভোগীদের ১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি –
১) আধার কার্ড
২) প্যান কার্ড
৩) বৈধ মোবাইল নম্বর
৪) ইমেইল আইডি
৫) রেশন কার্ড
৬) বর্তমান ঠিকানা
৭) কাস্ট সার্টিফিকেট
৮) ইনকাম সার্টিফিকেট
৯) ব্যাঙ্কের পাসবুক
অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি:
১) সবার প্রথমে যেতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হোম পেজে।
২) এরপর Get a Certificate অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৩) এর পর নীচেই পাওয়া যাবে PC এবং Mobile Software এর অপশন।
৪) এরপর লাইফ সার্টিফিকেট বানানোর জন্য সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে হবে ।
৫) সফ্টওয়্যার ইনস্টল করার পর তা ওপেন করে যেতে হবে ড্যাশবোর্ডে।
৬) ড্যাশবোর্ড তৈরির পর, অনলাইনে লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হবে।
৭) এরপর অনলাইনে যে লাইফ সার্টিফিকেট ফর্ম ওপেন হবে তা সঠিকভাবে ফিল আপ করতে হবে।
৮) এরপর সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
৯) চূড়ান্ত আবেদন সাবমিট করার পর, আবেদন পত্রের একটি প্রিন্ট রেখে দিতে হবে ।
অফলাইনে আবেদনের পদ্ধতি:
১) প্রথমেই যেতে হবে নিকটস্থ পাবলিক সার্ভিস সেন্টারে ।
২) এরপর সেখান থেকে একটি জীবন শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে হবে।
৩) এরপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে হবে।
৪) সেইসাথে জমা করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যাপ্লিকেশন ফিস-ও।
৫) পাবলিক সার্ভিস সেন্টারের কর্মরত সদস্যরা এই লাইফ সার্টিফিকেট পেতে সাহায্য করবে।
৬) এরপর, লাইফ সার্টিফিকেটের একটি কপি নিজের কাছে নিরাপদে রেখে দিতে হবে।