বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ট্রাম (Kolkata Tram) নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। তিলোত্তমার ১৫০ বছরের দীর্ঘ সঙ্গীকে বাঁচাতে ময়দানে নেমেছে ট্রামপ্রেমী সংগঠনগুলি। আগেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মহানগরে ট্রামলাইনের উপরে পিচ ঢালা যাবে না। যেখানে যেখানে ট্রামলাইনে পিচ ঢেলে দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে পিচ তুলে ট্রামলাইন পুনরায় আগের মত ফিরিয়ে আনতে হবে। ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ বন্ধ করতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। তবে তারপরও একাধিক অভিযোগ উঠছে।
আন্দোলনের ডাক ট্রামপ্রেমীদের | Kolkata Tram
অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি বড়বাজারের চিৎপুর ও এমজি রোডের ক্রসিংয়ের কাছে ট্রামলাইনে গভীর রাতে পিচ ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বড়বাজার থানায় অভিযোগ করেছে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিটিইউএ)।
সূত্রের খবর, অভিযোগ দায়ের হতেই নড়ে টনক। তড়িঘড়ি সেই পিচ তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, যে সংস্থা পিচ ঢেলেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। ট্রাম বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে মাঝেমাঝেই ট্রামলাইনে পিচ ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে হাত রয়েছে কলকাতা পুরসভার।
এই পরিস্থিতিতে আগামী ১ অগস্ট কলকাতা পুরসভার সামনে অবস্থানে বসবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রামপ্রেমীরা। প্রসঙ্গত, বিগত কিছু সময় ধরে বেশ কিছু রুটের ট্রামের ট্র্যাক তুলে ফেলার পাশাপাশি সেই জায়গায় পিচ দিয়ে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। পরে হাইকোর্টে অভিযোগ উঠলে সেই ইস্যুতে লাগাম পড়াতে একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করেছিল উচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ বন্ধ করতে হবে। ট্রামকে রাজ্যের ঐতিহ্য তকমা দিয়ে বিচারপতি বলেছিলেন, “ট্রাম এ রাজ্যের ঐতিহ্য। তা তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ। কিন্তু, রাজ্য সরকারকে ট্রাম বাঁচাতে উদ্যোগ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ‘আপনার মক্কেলই তো মূল অপরাধী!’ পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে তোপ সুপ্রিম কোর্টের, হলফনামা তলব
প্রসঙ্গত, রাজ্যে সরকার যে শহরের রাস্তায় আর ট্রাম চালাতে চায় না, তা পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী একাধিকবার নিজের কথায় পরিষ্কার করে দিয়েছেন। পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ট্রাম সংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। রাজ্য সরকার ট্রাম চালানোর পক্ষপাতী নয়। তবে পরিবহণ দপ্তরের অধীনে থাকা ট্রাম কোম্পানি রাস্তা মেরামতের কাজ করে না।’