বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিককালে চাকরি দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে প্রতিনিয়ত। এ সকল দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল ( Trinamool Congress) শীর্ষ নেতা থেকে কর্মীদের নাম জড়ানোয় জেরবার হয়ে পড়েছে শাসক দল আর এর মাঝে পুনরায় একবার এহেন দুর্নীতিতে নাম জড়ালো তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের।
বীরভূমের রামপুরহাটে একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোট ৪ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ আর সেই প্রসঙ্গে স্থানীয় থানায় অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে। যদিও সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতা। ঘটনার কেন্দ্রস্থল বীরভূমের রামপুরহাটের তারাপীঠ থানার লাহাগ্রাম। এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার জন্য তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান এমদাদুল হককে চার লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন গোলকবিহারী দাস। এক্ষেত্রে তাঁর পুত্র কৌশিক দাসকে চাকরিতে প্রবেশ করানোর জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি মামলাকারীর।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৮ বছর আগে টাকা দেওয়া হলেও পরবর্তীকালে চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, এমনকি টাকা পর্যন্ত ফেরত দেয়নি নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধান। বর্তমানে এই প্রসঙ্গে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গোলকবিহারীবাবু।
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থী কৌশিক দাস বলেন, “২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতাকে চার লক্ষ টাকা দিয়েছিল আমার বাবা। কিন্তু পরবর্তীকালে চাকরি পাইনি আমি। এমনকি টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হয়নি। বর্তমানে আমার বাবা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে হাতে টাকা নেই, সেই কারণে প্রশাসনের কাছে আমরা সকল অভিযোগ জানিয়েছি।”
যদিও এ সকল অভিযোগকে মানতে নারাজ এমদাদুল হক। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উঠে চলেছে, তা মিথ্যে। গোলক বিহারী দাস বলে আমি কাউকে চিনি না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়ে চলেছে।” সমগ্র ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধী দলগুলি। তবে এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি বলেন, “বর্তমানে যে অভিযোগটি উঠে এসেছে, সেই প্রসঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের শেষে যার নাম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসবে, তাকে আমরা কঠোর শাস্তি দেব। কেউ ছাড়া পাবেনা।”