বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত এক মাস ধরে চূড়ান্ত ডামাডোল পরিস্থিতির সাক্ষী ছিল পাকিস্তান। দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সেই সময় গদিচ্যুত করার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীরা এবং এরপর শত চেষ্টা করলেও প্রধানমন্ত্রী পদ ধরে রাখতে পারেননি ইমরান। আর এরপর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়ে শপথ নেন শাহবাজ শরিফ। তবে এসব মাঝেও যে ইমরান খানের অস্বস্তি দিন দিন বেড়ে চলেছে, তার প্রমান মিলল নতুন এক ঘটনায়।
বর্তমানে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি দামি নেকলেস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে চলেছে পাকিস্তানের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি প্রায় 18 কোটি টাকা মূল্যের একটি দামি জুয়েলারি উপহার হিসেবে পান এবং সেই দামি জিনিসটি বর্তমানে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে খবর। আর এরপরই গোটা দেশে শুরু হয় বিতর্ক।
পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নামক একটি পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইমরান খানের দায়িত্ব ছিল উপহার হিসেবে পাওয়া সেই জুয়েলারি দেশের তোশাখানায় জমা রাখা, যা তিনি করেননি। উল্টে সেই মূল্যবান বস্তু বিক্রি করে দেন।
জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়া এই বিশেষ নেকলেসটি ইমরান খান তাঁর প্রাক্তন সহকারি জুলফিকার বুখারিকে দেন এবং সেই সহকারি ব্যক্তিটি সম্প্রতি লাহোরের এক জুয়েলার্স এর কাছে সেটি 18 কোটি টাকায় বিক্রি করেন। আর এরপর আসরে নামে তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ। জানা যাচ্ছে, উপহারে পাওয়া কোন জিনিস তার অর্ধেক মূল্য দিয়ে নিজের কাছে যে কোন প্রধানমন্ত্রীই রাখতে পারেন, তবে ইমরান খান মাত্র কিছু মূল্যের বিনিময়ে এটি নিজের কাছে জমা রাখেন। এটি ছিল তার প্রথম ভুল এবং পরবর্তীতে যেখানে দেশের যেকোনো কর্মকর্তাদেরই কারোর কাছ থেকে পাওয়া উপহার তোশাখানায় জমা রাখতে হয়, সেখানে তিনি এটি বিক্রি করে দেন।
সূত্রের খবর, কোনো উপহার কিংবা উপহার বাবদ মূল্যের অর্ধেক যদি কোনো ব্যক্তি জমা রাখতে ব্যর্থ হয় তবে এটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে নেকলেসটি প্রায় 18 কোটি মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করার ফলে বর্তমানে ইমরান খানের সংকট আরো বাড়তে চলেছে, তা বলা যায়।