জেনারেল রিলিফের চাল আত্মসাত! অভিযোগের তীর তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের দিকে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে কোণঠাসা রাজ্যের তৃণমূল সরকার। এরই মধ্যে জেনারেল রিলিফের চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটির জেরে পোলবো দাদপুর ব্লকের সাটিথান পঞ্চায়েতের সিকটা গ্রামে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সিকটা গ্রামের জেনারেল রিলিফ সুবিধা ভোগীদের অভিযোগ তারা তাদের প্রাপ্য চাল পাচ্ছেন না। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, গত চার বছর ধরে তারা জেনারেল রিলিফ পাচ্ছেন না। এই স্কিমের আওতায় প্রতি মাসে ১২ কেজি করে চাল বিনা পয়সায় দেওয়ার কথা থাকলেও তা আত্মসাৎ করছেন পঞ্চায়েত প্রধান।গ্রামবাসীরা জানান স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে গিয়েও এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হয়নি। তাদের অভিযোগ পঞ্চায়েত অফিসেই যত ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে।

গ্রামের অধিবাসী আবু তালেম,জন্নুর আহম্মদদের অভিযোগ,” গত চার বছর ধরে জেনারেল রিলিফের বরাদ্দ পাচ্ছিনা। জেনারেল রিলিফের অধীনে প্রতি মাসে ১২ কেজি করে চাল ও গম পেতাম। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ জানালেও কিছুই হয়নি।”

অন্যদিকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ঝুমা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, জেনারেল রিলিফের বরাদ্দ পাননি বলে গরিব মানুষেরা আমার কাছে এসে দরবার করেন। আমি সেই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন যে জেনারেল রিলিফের বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেছে। পরে সন্ধান করে জানতে পারি বরাদ্দ বিলি হয়নি। ৫১ জন সুবিধাভোগী গত সাড়ে চার বছর ধরে এই সুবিধা পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত কি করছে তারাই জানে। এর সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান জড়িত রয়েছে। পঞ্চায়েত অফিসেই এই ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে।”

পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধান অম্বালিকা ঘোষ জানিয়েছেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। মাত্র দু বছরের জেনারেল রিলিফ বাকি আছে। ব্লক থেকে মেইল না আসার কারণে আমরা তা বিলি করতে পারিনি। এরপর মেইল আসায় আমরা তার বিলি শুরু করেছি। আমাদের কাছেও কেউ অভিযোগ জানাতে আসেনি।”

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য । তিনি বলেছেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সবই চুরি হচ্ছে। এই তৃণমূলের চোর সরকারকে মানুষ আর চায়না।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর