করোনার জেরে সোমবার সবজি বাজারের পাশাপাশি মদের দোকানেও দেখা গিয়েছিল লম্বা লাইন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে কলকাতায় (Kolkata) জারী হয়েছে লকডাউন (Lockdown)। শুধুমাত্র জরুরিকালিন পরিষেবা ছাড়া বাকি সব কিছুই বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সাধারণ মানুষকে ঘর না থেকে বেরনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে বেশি মানুষের জমায়েতও পড়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু বাজার ফাঁকা থাকলেও, সোমবার বিকেল পর্যন্ত আবার বেশ কয়েকটি বাজারে পা রাখার জায়গা ছিল না। অপরদিকে মদের দোকানেও দেখা গেল লম্বা লাইন।

শীতের সবজি

করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে রবিবার কার্ফু জারী করার পরই সোমবার রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করল সরকার। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকদিনের খাদ্য শস্য মজুত করতে সোমবার সকাল থেকেই বাজারের উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন অনেকেই। অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মানুষ গেলেও, সবজির চাহিদা কিন্তু ছিল ব্যাপকহারে। রবিবার কার্ফু জারী থাকায় কোন সবজি বিক্রেতাই কাঁচামাল আমদানি করতে পারেনি। আবার সোমবার বিকেল থেকে লকডাউনের সিদ্ধান্তে সবজির বাজার আগুনে পরিণত হয়েছিল। বেশিরভাগ সবজি না পাওয়া গেলেও, যা পাওয়া গেল তার দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। বেশি দামেই বাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ঘরে মজুত রাখতে দেখা গেল ক্রেতাদের।

00000 19

একদিকে যেমন সবজির বাজার আগুন, তেমনই অন্যদিকে মদের দোকানে লাইন ছিল দেখার মতই। পুরুষদের সাথে সাথে লাইন দিতে দেখা গেল মহিলাদেরও। এই দৃশ্য দেখা গেল হাওড়ায়। পেটি সমেত মোদের বোতল নিয়ে কেউ কেউ টোটো করে আবার কেউ ভ্যানে করে নিয়ে গেলেন বাড়ি। মদ ক্রেতাদের বক্তব্য, আগামী কয়েকদিন সবজির বাজার খোলা থাকলেও, মদের দোকান বন্ধ থাকবে। সবজি চড়া দামে কিনতে পারলেও মদ কিনতে পারবে না তাঁরা। আবার একাধারে অনেকের দাবী মদ যেহেতু করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক, তাই বাড়িতে অবসর সময়ে এখন বেশি করে মদ খাওয়া ভালো। আজ থেকে তো বেশ কিছু দিন বাড়িতেই থাকতে হবে, তাই সময় কাটানোর জন্য মদের জোগান রাখা ভালো।

mohial

 

সোমবার দিনভোর রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের চলাচল দেখা গেলেও, সন্ধ্যের পর থেকে কিন্তু মানুষের আনাগোনা অনেক কমে গেছে। সকলেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সরকারের নির্দেশ মান্য করে আগামী কয়েকদিন সংকটকালিন পরিস্থিতিতে সকলেই ঘরে থাকার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর