গল্প হলেও সত্যি, পুনের বাসিন্দা নিজের জন্য বানিয়ে ফেললেন প্রায় ৩ লক্ষের সোনার মাস্ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোনা (Gold), পছন্দ করেনা এমন মানুষ কিন্তু বিরল। কিন্তু তাই বলে সোনার মাস্ক (Golden mask)! করোনার আবহে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব হচ্ছে প্রধান হাতিয়ার। সরকারী ভাবে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। নিজের সাধ্যমত ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক হোক বা সাধারণ কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করছেন প্রায় সকলেই।

সোনার মাস্ক!
করোনার আবহেই যেখানে সমাজের এক শ্রেণির মানুষ মাস্ক তো দূরস্থর এক বেলার অন্ন জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে এক ব্যক্তি সোনার তৈরি মাস্ক পড়ে অবলীলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গল্প হলেও সত্যি। মহারাষ্ট্রের পুনের বাসিন্দা শঙ্কর কুরাড সোনার পাগল। সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে তার সোনার অলঙ্কার। গলা, হাতের কোন আঙ্গুল, কবজি বাদ রাখেননি কোথাওই।

mask 6

স্পেশাল সোনার মাস্ক
করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে যখন সকলে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করছেন, তখন সকলকে তাক লাগিয়ে নিজের জন্য বানিয়েই ফেললেন এক সোনার মাস্ক। সাধারণ মাস্কে মন ভরছিল না শঙ্কর কুরাডের। তাই যেখানে সাধারণ মাস্ক মিলছে মাত্র ১০- ১৫ টাকায়, সেখানে শঙ্কর বাবুর স্পেশাল সোনার মাস্কের দাম পড়ল মাত্র ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।

হার মানবে করোনা?
প্রায় তিন কেজি সোনার গহনা শরীরে ধারণের পর নতুন সোনার মাস্ক ব্যবহার করে শঙ্কর বাবু জানালেন, ‘টিভিতে রৌপ্য মাস্ক ব্যবহার করতে দেখে স্বর্ণকারের সঙ্গে সোনার মাস্কের বিষয়ে আলোচনা করি। প্রায় ১ সপ্তাহের মধ্যেই এই সোনার মাস্ক বানিয়ে দেয় স্বর্ণকার। তবে এটি কিন্তু খুব ভারী নয়, বেশ পাতলাই। শ্বাস নিতে কোন সমস্যাই হচ্ছে না।’ তবে সোনার মাস্ক ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাসকে কতটা হার মানাতে পারবে, সেটাই দেখার।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর