বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০ এপ্রিল রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন। রাজ্যের ৫ জেলার ৪৪ আসনে ভোট নেওয়া হবে সেদিন। আর চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগে ফের ধাক্কা শাসক শিবিরে। বুধবার তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিলেন দু’বারের বিধায়ক অমল আচার্য। রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন অমলবাবু।
উত্তর দিনাজপুরের রাজনীতিতে বেশ পরিচিত মুখ অমল আচার্য। ২০১১ এবং ২০১৬ সালে ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন অমলবাবু। উনি বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতিও ছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর ওনাকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি এবারের নির্বাচনে ওনাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। অমলবাবুর পরিবর্তে ওনারই ছায়াসঙ্গী মোশারফ হোসেনকে টিকিট দেওয়া হয়। আর সেটাই মানতে পারেন নি দু’বারের বিধায়ক অমল আচার্য।
ওনাকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী না করায় ওনার অনুগামীরা কলকাতায় গিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছে ধরনাও দেয়। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। অবশেষে দলত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন অমল আচার্য। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দু’বারের বিধায়ক জানান, ‘তৃণমূলে যোগ্য সম্মান পাইনি বলেই বিজেপিতে যোগ দিলাম। তৃণমূল এখন প্রাইভেট কোম্পানি হয়ে উঠেছে। কয়লা, গরুপাচার সবই চলে দলের নেতাদের নির্দেশে। তাই এই দলে আর থাকতে চাই না।”
অমল আচার্য তৃণমূলের নামে গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, ইটাহারে ধর্মের নামে ভোট চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। আরেকদিকে, অমল আচার্যর দলত্যাগের পর উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন যে, ওনার চলে যাওয়াতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।