সুশোভন মিস্ত্রি, বাসন্তীঃ সাল ১৯৮৯ সুন্দরবনে (Sundarban) প্রথম বাসন্তী হাই স্কুলের শিক্ষক রূপে আসেন অমল নায়েক মহাশয় তখন থেকেই স্কুলছুট পড়ুয়াদের নিয়ে কিছু করার একটা ভাবনা তার মাথায় প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াতো আর তাই তিনি সেই মত সেই সমস্ত স্কুল ছুট পড়ুয়াদের নিয়ে আবার তাদেরকে নতুন করে স্কুল মুখী করে তোলার জন্য তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে থাকে।
কিন্তু তিনি শুধু তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, পরে তিনি সুন্দরবন উন্নয়ন সম্পর্কে ও সুন্দরবনের বাঘের দ্বারা আক্রমণে মৃত পরিবারের অসহায় শিশুদের নিয়ে ও কিছু অনাথ বাচ্চাদের নিয়ে একটি অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে সেইসব বাচ্চাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে যাবতীয় সব রকম দেখভাল হাল করা হয়। ওনার এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটিকে তিনি সারা সুন্দরবন ব্যাপী ছড়িয়ে দেন। এবং তিনু সুন্দরবনের সেইসব প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসহায় বাচ্চাদেরকে নিয়ে তাদের পড়াশোনা ও সমস্ত রকম দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আর তাদেরকে মানুষের মত মানুষ করে তোলার ব্রত নেন।
আজ তার এই অনাথ আশ্রমে প্রায় ৩০০ জন অসহায় ছাত্র-ছাত্রী সেখান থেকেই বড় হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, সাথে সাথে তিনি এও জানান ১৯৮৯ সালে থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৫০০০ অসহায় বাচ্চাকে তিনি মানুষ করেছেন। তাদের কে সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছে আজ সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার কেউবা আবার প্রশাসনিক বিভাগে কাজ পেয়েছে।
সুন্দরবনকে নতুন করে গড়ে তোলার এই প্রয়াসে সাধুবাদ জানিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ওনাকে শিক্ষারত্ন পুরস্কারে ভূষিত করা হয়, এই পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি জানান যদি সরকারিভাবে কিছু সাহায্য তাদেরকে করা হয় তাহলে তিনি সুন্দরবনের এই সমস্ত স্কুল ছুট বাচ্চাদের কে নিয়ে আবার তাদেরকে নতুন করে স্কুলমুখী করে তোলার সাথে সাথে সুন্দরবনের অসহায় পরিবারের সাহায্য করবেন। এতে তারা তাদের বাচ্চাদেরকে শিক্ষিত করে তুলতে পারে সেই প্রয়াস করার জন্যই সরকারের কাছে আবেদন জানান।
ওনার সাথে কথা বলে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা ও জানতে পারি যদি সেইমতো পরিকল্পনায় সফল হয় তবে এক কথায় বলা যেতে পারে সুন্দরবনকে আবার নতুনভাবে সেজে ওঠা নিশ্চিত রূপে তারই ইঙ্গিত করছে ।