বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি বিতর্ককে (Plot Controversy) কেন্দ্র করে সরগরম বঙ্গ। বাড়ির ১.৩৮ ডেসিমেল জমি নোবেল জয়ীর নাকি বিশ্বভারতীর এই নিয়েই শুরু বিতর্ক। তবে বেশ কিছুদিন জমি জট প্রসঙ্গে জলঘোলা হওয়ার পর এদিন অমর্ত্য সেন বলেন, “আমার বাবার নামে জমি ছিল। সেই জমি আমার নামে হওয়া উচিত ছিল। তাই হল। বিএল অ্যান্ড আরও অফিস থেকে করে দিয়েছে।”
নোবেলজয়ীর কথা অনুযায়ী তার শান্তিনিকেতনের প্রতীচী’ বাড়ির ১.৩৮ ডেসিমেল জমিই তার নামে নথিভুক্ত করেছে রাজ্য সরকার। জমি বিতর্কের পর এই ইস্যু নিয়ে নোবেলজয়ীর পক্ষে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সম্প্রতি অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়িতেও যান তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানেই নোবেলজয়ীর হাতে জমির নথি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, জমি নিয়র অমর্ত্য সেনের আইনজীবী বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে নোবেলজয়ীর বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনের একটি উইল পেশ করেন। তবে উইল অনুসারে ‘প্রতীচী’ জমির অধিকার আশুতোষ সেনের মৃত্যুর পর যাবে স্ত্রী অমিতা সেনের কাছে। তারপর তা পাবেন অমর্ত্য সেন।
অন্যদিকে এই উইলের প্রেক্ষিতেই বিশ্বভারতীর তরফেও আইনজীবী বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে একাধিক নথি জমা দেন। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি এর শুনানি হয়। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গেই কথা বলেন অমর্ত্য সেন। বলেন, “আমার বাবার নামে জমি ছিল, আমার নামে হওয়া উচিত ছিল, তাই হল। বিএল অ্যান্ড আরও অফিস থেকে করে দিয়েছে তো। না হওয়ার কোন কারণ ছিল না। । আমার বাবার উইলে বলা আছে, যখন জীবন শেষ হবে, আমার মা পাবেন এই জমি । আমার মায়ের জীবন শেষ হলে আমার কাছে আসবে।”
নোবেলজয়ীর এই কথাতেই বিষয়টি জলের মত পরিষ্কার যে তার বাবার উইল অনুযায়ী সেই অমর্ত্য সেনের নামেই সেই ১.৩৮ ডেসিমেল জমি রেকর্ড করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, এদিন ফের শান্তিনিকেতন ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিলেন অর্থনীতিবিদ। যাওয়ার সময় তিনি বলেন এরপর জুলাই মাসে তিনি আবার দেশে ফিরবেন।