বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত কয়েকদিন যাবৎ বিতর্কের শিরোনামে বিরাজ করছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে সম্প্রতি এক মন্তব্যে তিঁনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় যোগ্যতা রাখেন মমতা। আর তাতেই শুরু বিতর্ক। তবে সেই বিতর্ক আর এই মন্তব্যকে ঘিরেই বন্দি নেই, তা পৌঁছে গেছে নোবেলজয়ীর ব্যক্তিগত জীবনেও। বৃহস্পতিবার অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) নোবেল (Nobel Prize) পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আর এবার সেই মন্তব্যেই সহমত পোষণ করলেন বিজেপির (BJP) দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন, অমর্ত্য সেন কখনও নোবেল পুরুস্কার পাননি। কারণ অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়ার প্রথা নেই। আর এদিকে শুক্রবার সেই একই কথা শোনা গেল বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান সৈনিক দিলীপ ঘোষের মুখে। এদিন সাংবাদিকরা দিলীপকে অমর্ত্য সেনের নোবেল প্রাইজ নিয়ে প্রশ্ন করলে তার জবাবে দিলীপ বলেন, ‘আমি তো অনেকদিন ধরেই এই কথা বলছি। উনি নোবেল পাননি। সমতুল একটা পুরস্কার পেয়েছিলেন। এ নিয়ে আমি আগেও বলেছিলাম। তখন কারও সামনে বলার সাহস ছিল না। ওঁকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। লেগেই রয়েছে। আমি মনে করি এটা সম্মানজনক নয়।’
প্রসঙ্গত, বহুদিন থেকে জমি নিয়ে সংঘাত চলছে নোবেলজয়ী ও বিশ্বভারতীর মধ্যে। চলতি সপ্তাহে সেই বিতর্ককে আবারও উস্কে দিয়ে অমর্ত্য সেনকে এক চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী। সেখানে অভিযোগ, অমর্ত্য সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। পাশাপাশি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দাবি, ‘এই নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন না অমর্ত্য সেন? কারণ জানেন, গেলেই হেরে যাবেন।’
এই উত্তপ্ত আবহেই এবার নয়া বিতর্ক শুরু নোবেলজয়ীর নোবেল পুরুস্কার নিয়েই। গতকাল বিশ্বভারতীর উপাচার্য মন্তব্য করেন , ‘নোবেল প্রাইজের যে ডিডটা তৈরি হয়েছিল, সেখানে বলা আছে পাঁচটি ক্ষেত্রে নোবেল দেওয়া হবে। সেগুলি হল, পদার্থবিদ্যা, রয়াসয়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং শান্তি। পরবর্তীকালে সুইডেন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এগিয়ে এসে বলে, নোবেল প্রাইজের পয়সাটা তারা দেবে। তাই অর্থনীতিতে নোবেল মেমোরিয়াল প্রাইজ দেওয়া শুরু হয়।’ তবে নোবেল কমিটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী ১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিতে এই পুরুস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। ১৯৯৮ সালে সেই নোবেল পুরুস্কারে পুরুস্কৃত হন বাংলার অমর্ত্য সেন।