বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমেরিকার (America) সাথে শত্রুতা করার ফল যে ভালো হয়না তা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু ইরানের (Iran) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতেই জো বাইডেনের বিরাগভাজন হয়েছে ইসলামাবাদ। এমনিতেই পাকিস্তানের যা হাল তাতে তাদের রোজকার খাবার জোগাড় করাটাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে আমেরিকা মুখ ফেরালে তা পাকিস্তানের জন্য মোটেও ভালো হবেনা।
উল্লেখ্য যে, সদ্যই ৩ দিনের পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি। এই সফরে তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে আটটি সমঝোতা স্মারক (MOU) স্বাক্ষর করেছেন বলে খবর। যদিও দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে কী না তা জানা যায়নি। তবে গোপন সূত্রে খবর, পাকিস্তানে গ্যাস পাইপলাইন বিছানোর এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে দুই দেশের মধ্যে গোপন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আর এতেই মুখ ফুলেছে আমেরিকার। পাকিস্তানের আশায় জল ঢেলে আমেরিকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির পথে এগোলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। অন্যদিকে আমেরিকা উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় পাকিস্তান তাদের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার। এমন আবহে পাকিস্তানের সাথে প্রথমেই সংঘর্ষে জড়াতে চাইছেনা আমেরিকা। আর সেই কারণেই প্রাথমিকভাবে দেশটিকে সতর্ক করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন : অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন, মোদীর মতোই কড়া নেতা চাই আমেরিকায়! বললেন JP Morgan-র CEO
তবে একথা বলাই বাহুল্য যে, রাইসির সফর নিয়ে পাকিস্তান প্রথমে যতটা উৎসাহিত ছিল, এই হুমকির পর সেটা কার্যত শেষ। ওদিকে ইরানের কথা বললে, গত কয়েক মাসে একাধিক পরিবর্তন এসেছে দেশটিতে। ইরান-ইজরায়েলের সংঘাতের ফলে ফের একবার অস্থির হয়ে উঠেছে পশ্চিমা দেশগুলি। ওদিকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থাও স্থিতিশীল নয়। সেই সাথে আর্থিক সমস্যা তো আছেই। এমন আবহে রাইসির পাকিস্তান সফর দেশে কী বদল আনে সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন:‘নিয়ম ভঙ্গের চেষ্টা করবেন না’, ব্যালট নাকি EVM? রায় শোনাল সুপ্রিম কোর্ট
অন্যদিকে চালের গুণগত মানের নিরিখে প্রত্যাশা পূরণ না করায় পাকিস্তান থেকে চাল রফতানি বন্ধ করার পথে রাশিয়া। মস্কো নিজের এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তা পাকিস্তানের জন্য বড় সমস্যার হবে সেকথা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে একবার পাকিস্তান থেকে চাল কেনা বন্ধ করে দিয়েছিল রাশিয়া।