বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম মার্কিন সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (India)। ফ্রান্স ঘুরে বুধবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। বৃহস্পতিবারই হওয়ার কথা মোদী-ট্রাম্প সাক্ষাৎ। এবারের বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছে ওয়াকিবহাল মহল। মনে করা হচ্ছে, এবারে মোদী ট্রাম্প বৈঠকে বাণিজ্যে নয়া শুল্ক নীতি, সন্ত্রাসবাদ, চিনের আগ্রাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে H1B ভিসার মতো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তবে একই সঙ্গে চিন এবং বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তানও উঠে আসতে পারে আলোচনায়।
রাশিয়া চিনের সংঘর্ষে লাভবান ভারত (India)
এ বিষয়ে ORF এর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ৬ মাস আগেও ভারত (India) এবং আমেরিকার মধ্যে রাশিয়া একটি বড় মাথাব্যথার বিষয় ছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন উন্নত হয়েছে আমেরিকার। এমনকি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানের দিকেও এগোচ্ছে আমেরিকা। এমতাবস্থায় চিন এবং রাশিয়ার মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারত (India) এতে লাভবান হতে পারে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা: যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের সঙ্গে ভারত (India) কোনো রূপ সংঘর্ষে যেতে চায় না। তবে চিনের আগ্রাসনে যদি লাগাম টানা যায় তবে তা ভারতের পক্ষে তা লাভজনক হবে। ORF এর ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরো জানান, ভারত (India) এবং আমেরিকার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং আরো কিছু ছোট দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
আরো পড়ুন : হুড়মুড়িয়ে নামল TRP, জলসার ৫ মাস পুরনো মেগা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ!
পাকিস্তান নিয়ে আমেরিকার অবস্থান: কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের বিষয়ে এখনই আমেরিকার কোনো আগ্রহ নেই। এই মুহূর্তে পাকিস্তান ট্রাম্প প্রশাসনের নজরে নেই। তবে বাংলাদেশের বিষয়ে আমেরিকার অবস্থান ভিন্ন হতে পারে। কারণ ভারতের (India) এই পড়শি দেশে যেভাবে সন্ত্রাসবাদ পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আমেরিকারও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আরো পড়ুন : সমস্ত জল্পনার অবসান! হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকা মণিপুরে এবার রাষ্ট্রপতি শাসন
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মৌলবাদী কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে বরাবর শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে আমেরিকা। বাংলাদেশে জামাত-এ-ইসলামী সক্রিয় রয়েছে, যারা মার্কিন মুলুকেও যথেষ্ট প্রচার করেছে। এমতাবস্থায় আমেরিকা লাগাম টানলে বাংলাদেশের উপরে চাপ বাড়বে। আর বর্তমানে ওই দেশের আর্থিক পরিস্থিতি যেমন তাতে যে বাংলাদেশ সরকার কোণঠাসা হয়ে পড়বে তাতে সন্দেহ থাকছে না।