বাংলা হান্ট ডেস্ক : এই মুহুর্তে আমেরিকা সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi )। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক কারণে। তিনদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রীর ঠাসা কর্মসূচি। গতকাল বিশ্ব যোগ দিবসও মার্কিন মুলুকেই কাটালেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এবার অনেকগুলি চুক্তি সাক্ষরিত হতে পারে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুদ করতে পারে এবার মোদি বাইডেন সাক্ষাৎ, এমনটাই ধারণা কূটনৈতিক মহলের।
এরই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের যাবতীয় খরচ বহন করবে আমেরিকাই। এর কারণ প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় গেছে জো বাউডেনের আমন্ত্রণে। অর্থাৎ তিনি রাজকীয় সফরে গেছেন। এর আগে এমন সফরে গিয়েছিলেন শুধু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী ডা. রাধাকৃষ্ণান।
মোদির এবার ঠাসা সফরসূচি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ২২ জুন । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার মার্কিন সফরে গিয়েছেন। তবে এবারের বৈঠকের বিশেষ গুরুত্ব হল,এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ আলোচনার জন্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদি – বাইডেন ।
২৪ জুন পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এবার জাতিসংঘের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day )উদযাপনে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। মোদি দেখা করবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে। এছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। এবার সফরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া।
তাঁর এই বক্তৃতা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিনিই হতে চলেছেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী (PM Modi )যিনি United States Congress -এর যৌথ অধিবেশনে এ নিয়ে দু’বার বক্তব্য পেশ করবেন। এর আগে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি তিনবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ সভায় ভাষণ দিয়েছেন।
২০১৬ সালে, মোদি ষষ্ঠ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন। জওহরলাল নেহরু ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ১৯৪৯ সালে হাউস এবং সেনেটে আলাদাভাবে ভাষণ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাজীব গাঁধী ১৯৮৫ সালে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন। পি.ভি. নরসিমা রাও ভাষণ দেন ১৯৯৪ সালে। অটল বিহারী বাজপেয়ী ২০০০ সালে এবং মনমোহন সিংহ ২০০৫ সালে ভাষণ দেন।