বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) সাথে আমেরিকার সম্পর্ক এখন বন্ধুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক এখন আগের থেকে অনেক ভালো। করোনা ভাইরাসের (COVID-19) মোকাবিলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের থেকে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধ চেয়েছিল। এবং তাঁদেরকে সেই ওষুধ দিয়েছে সাহায্য করছে ভারত। আর এখন আমেরিকার প্রশাসন ১৫.৫ কোটি ডোলারের হার্পুন ব্লক ২ এয়ার লঞ্চ মিসাইল এবং হালকা ওজনের টর্পিডো ভারতকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ট্রাম্প সরকার আমেরিকার সাংসদ থেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। এবং ১৫.৫ কোটি ডোলারের হার্পুন ব্লক ২ এয়ার লঞ্চ মিসাইল এবং হালকা ওজনের টর্পিডো ভারতকে বিক্রি করার অনুমতি দিয়ে দেন। ৯২ মিলিয়ন ডলারের বদলে তারা ভারতকে ১0 AGM84L হার্পুন এয়ার লঞ্চ মিসাইল দেবে। আবার ১৬ ML54 রাউন্ড টর্পিডো এবং 3 MK54 এক্সাইজ টর্পিডো ৬৮ মিলিয়ন ডলারের বদলে দেবে। আমেরিকার সুরক্ষা মন্ত্রালয় থেকে জানায়, যে ভারত এগুলো তাঁদের কাছে চেয়েছিল। তাই এখন ভারতের চাহিদাকে সম্মতি জানিয়েছে আমেরিকা।
হার্পুন ব্লক ২ -এর বিষয়ে পেন্টাগন বলেছে, ‘ভারত এই অস্ত্রের ব্যবহার সুরক্ষা বিষয়ে এবং দেশমাতাকে রক্ষা করতে কাজে লাগাবে। এই অস্ত্রকে ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে যোগ করতে, ভারতের কোন সমস্যা হবে না। ভারত হালকা ওজন বিশিষ্ট MK54 এক্সাইজ টর্পিডো P84 বিমানে ব্যবহার করতে চায়। এই অস্ত্র ব্যবহারে ভারতের কোন সমস্যা হবে না’।
ভারত-আমেরিকার এই জিনিস দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে এই দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। এছাড়াও সিন্ধ প্রদেশে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিরতা, শান্তি এবং আর্থিক প্রগতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমেরিকার কোম্পানি বোয়িং-এর তরফ থেকে হার্পুন মিসাইল বানানো হবে এবং রেথিওন কোম্পানির থেকে টর্পিডোকে বানানো হবে। ভারত এবং আমেরিকা অনেক দিন ধরেই নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধীরে ধীরে সুপার পাওয়ার আমেরিকার সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে চলতে পারবে ভারত।