ভয়ঙ্কর যুদ্ধ পরিস্থিতি, এইসময়েই ইজরায়েলকে $735 এ ভয়ঙ্কর অস্ত্র বিক্রি করবে আমেরিকা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত এক সপ্তাহ ধরে রীতিমত রণভূমিতে পরিণত হয়েছে ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইন। আল-আকসা মসজিদে ইজরায়েলের গুলি চালানোর পর থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল প্যালেস্টাইনের জঙ্গী সংগঠন হামাস। আর তারপরেই সরাসরি ইজরায়েলের উপর রকেট বর্ষণ শুরু করে তারা। হামাসের বক্তব্য তাদের দেশে উপনিবেশ গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লেগেছে ইজরায়েল। প্রত্যুত্তরে, এয়ারস্ট্রাইক শুরু করে ইজরায়েলও৷ সেই থেকেই লাগাতার চলে আসছে সংঘর্ষ। ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ৫২ জন শিশু সহ প্রায় ২০০ জন প্যালেস্তানির। অন্যদিকে ইজরায়েলেও রকেটের আঘাতে নিহত হয়েছেন ১০ জন অধিবাসী। এই যুদ্ধ থামানো নিয়ে যখন রীতিমতো চিন্তিত বিশ্বের বড় সারা দেশ গুলি। তখনই ইজরায়েলকে ৭৩৫ মিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র বেচার সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা নিয়ে সমালোচনা এখন তুঙ্গে।

ইসরাইলের সমর্থনে আগেই বার্তা দিয়েছিল বিডেন সরকারঃ

ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা অবশ্য আগেই দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জো বিডেন জানিয়েছিলেন, “ইজরায়েলের অধিকার আছে প্রতুত্তর দেওয়ার, যখন তাদের দেশের দিকে হাজার হাজার রকেট ছুটে আসছে।” এর পরে অবশ্য ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে অনেক দেশই। তবে যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয়।

আমেরিকার ভেটোয় ভেস্তে যায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের পদক্ষেপঃ

ইজরায়েল প্যালেস্টাইনের এখনই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা উচিত। ব্যক্তিগত বিষয় মিটিয়ে নেওয়া উচিত আলোচনার মাধ্যমে। এ কথা মাথায় রেখেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের যুদ্ধবিরতির পক্ষে মত দিয়েছিল ভারত, চীন ও অন্যান্য দেশ গুলি। কিন্তু সেখানেও আমেরিকার ভোটোদানের কারনে বাতিল হয়ে যায় সমস্ত পদক্ষেপ। আমেরিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুই দেশের সঙ্গেই ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার চেষ্টা করছেন তারা। যাতে যত যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে দুই দেশ সেই চেষ্টাতেই রত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই কারণে এখনই কোনো পদক্ষেপের দরকার নেই।

ক্ষোভ বিডেন সরকারের অন্দরেঃ

সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখেও কিভাবে ইজরাইলকে অস্ত্র বেচার সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন, তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হলো ডেমোক্র্যাটিক সরকারের অন্দরেই। এর আগে ইজরাইলকে সরাসরি সমর্থন করায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন ডেমোক্রাট সরকারের সাংসদরা। এবার সেই ক্ষোভ আরও সরাসরি সামনে এলো। দলের সাংসদ মার্ক পোকন বলেছিলেন, “আমরা কেবল হামাসের রকেট হামলার নিন্দা জানিয়ে বসে থাকতে পারি না, ইজরায়েলি পুলিশ বাহিনী দ্বারা প্যালেস্তানিদের উপর নৃশংসতার কথাও শুনতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে গণহত্যার অনুমতি দিতে পারে না। ”

israel carpet bombing

দলেরই অন্য এক সাংসদের মতে, “গত সপ্তাহে ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় বহু প্যালেস্তানি নিহত হয়েছেন। গাজার ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্টকারী আমেরিকান সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ভবনটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এসময় ইজরায়েলকে যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি না করিয়ে, স্মার্ট বোমা বিক্রি কেবলমাত্র একটি বড় ধরনের গনহত্যার দিকে পরিচালিত করবে ঘটনাপ্রবাহকে।”

দলের অন্দরেই বিরুদ্ধচারন কিভাবে সামলায় বিডেন সরকার, সেদিকেই এখন নজর থাকবে সকলের। অন্যদিকে অবশ্যই গাজা এবং ইজরায়েল যুদ্ধে আমেরিকার ভূমিকা কি হবে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করবে এই ঘটনা।

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর