বাংলা হান্ট ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতের (India) অর্থনীতিকে “মৃত অর্থনীতি” বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এদিকে, ইতিমধ্যেই আমেরিকা ভারতের ওপর ৫০ শুল্ক (আমদানি শুল্ক) আরোপ করেছে। তবে, ট্রাম্পের এহেন বিবৃতি সত্ত্বেও, আমেরিকার একাধিক বড় কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীরা ভারতকে একটি চমৎকার বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে।
ভারতে (India) বিনিয়োগে আকৃষ্ট হচ্ছে আমেরিকার কোম্পানিগুলি:
উল্লেখ্য যে, ভারত (India) সেমিকন্ডাক্টর এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে হু হু করে এগিয়ে চলেছে। ঠিক এই আবহেই জেকবস সলিউশনের মতো আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিগুলি এই সেক্টরে ব্যাপক বিনিয়োগ এবং সম্প্রসারণ করছে। যেটি প্রমাণ করে যে ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে ট্রাম্পের নেতিবাচক মন্তব্য সত্ত্বেও, আমেরিকান কোম্পানিগুলির এখনও ভারতের ওপর আস্থা রয়েছে।
ভারতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের অগ্রগতি: ইতিমধ্যেই জেকবস সলিউশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাডলামুদি জানিয়েছেন, ভারতে (India) সেমিকন্ডাক্টর এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে একাধিক বড় প্রকল্প চলছে। উদাহরণস্বরূপ, গুজরাটের ধোলেরায় টাটা ইলেকট্রনিক্স কারখানার মতো বড় কারখানাগুলি ওই অঞ্চলে শক্তি যোগাচ্ছে। তাঁর মতে, ভারতে কেবল কারখানা নয়, সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের জন্য পুরো ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী, গ্যাস সরবরাহকারী এবং ডিজাইন কোম্পানিগুলি। যারা একত্রে ভারতকে এই ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করছে।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ছেড়ে শুরু করেন ব্যবসা! ৩ বছরেই তৈরি ১০০ কোটির ব্র্যান্ড, চমকে দেবে সন্দীপের সাফল্যের কাহিনি
ভারতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রত্যাশিত: ভাডলামুডি বলেন যে, ভারতে (India) সেমিকন্ডাক্টর এবং ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রক্রিয়া এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে এর জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন যে, বিনিয়োগে সময় লাগতে পারে। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে। কিন্তু ভারতের বাজারের ক্ষমতা এবং সম্পদ সেটিকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ বিকল্প করে তোলে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আগামী ৫ থেকে ৬ বছরে ভারতে বিনিয়োগের এই কাহিনি আরও শক্তিশালী হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ২৫ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ার! IPL-এও দেখিয়েছেন দাপট, অবসর নিলেন ভারতের তারকা স্পিনার অমিত মিশ্র
উল্লেখ্য যে, জেকবসের জন্য ভারতের (India) সবচেয়ে বড় শক্তি হল কর্মীরা ইতিমধ্যেই বিশ্বমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এই ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা আমেরিকা এবং ইউরোপের কারখানায় কাজ করেছেন। যার কারণে তাঁদের নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি সম্পর্কে গভীর ধারণা রয়েছে।