বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ক্রমশ ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। গুজরাটের (Gujrat) সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে। এমন অবস্থায় উড়ল দ্বারকাধীশ মন্দিরের চূড়ায় দু’টি ধ্বজা। এটা কি তবে কোনও বিপর্যয়ের আগে অশনি সংকেত? কথিত আছে বড় কোনও বিপদের আগে জাগ্রত দ্বারাধীশ মন্দিরের চূড়ায় দু’টি ধ্বজা উড়ানো হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ইতিমধ্যেই প্রবল বাতাস বইতে শুরু করেছে দ্বারকায়। মন্দিরের সেবাইতরা আগামী ১৫ই জুন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রহর গুনছেন। বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা ঈশ্বরের নাম গান করছেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে মন্দিরের সেবায়েতরা দেবভূমি দ্বারকায় ভগবান দ্বারকাধীশের মন্দিরের (Dwarakadhis Temple) চূড়ায় দু’টি ধ্বজা উড়ান।
ঘূর্ণিঝড়ের অশুভ প্রভাব পড়তে চলেছে দ্বারকায়। সেই অশুভ প্রভাব দূর করার জন্যই দ্বারকাধীশ মন্দিরে দু’টি ধ্বজা উড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই দুটি ধ্বজা উড়ানো হয়েছে ভগবান দ্বারকাধীশের জগৎ মন্দিরের মাথায় ১৫০ ফুট উঁচুতে। তাওকতে ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও এই মন্দিরে দুটি ধ্বজা উড়ানো হয়েছিল। দ্বারকাধীশ মন্দিরে ব্রাহ্মণরা প্রতিদিন অর্পণ করেন পাঁচটি ধ্বজা।
এই রীতি চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। এছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরে যাদবরাও ধ্বজা উত্তোলন করে থাকেন। এই যাদবরাই অতীতে দ্বারকা শাসন করত। ৫২ জন যাদবের সম্মানে ৫২ হাত লম্বা একটি ধ্বজা ওড়ানো হত দ্বারকাধীশ মন্দিরের। এই ধরনের বহু জনশ্রুতি আজও প্রচলিত আছে। সেই জনশ্রুতিকে সম্মান দিয়েই বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য আজ মন্দিরে ওড়ানো হল দু’টি ধ্বজা।