বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের একবার সামনে এলো রাজ্য কেন্দ্র সংঘর্ষ। এর আগে কখনো আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে, কখনোবা প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে একাধিকবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে রাজ্য। এ দিল ফির একবার জিএসটি বৈঠককে কেন্দ্র করে তাকে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে আজ তাকে কথা বলতেই দেওয়া হয়নি, বরং তাঁর জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রীকে এমনটাই অভিযোগ তুলে ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অমিত মিত্র। জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪ তম বৈঠক ছিল শনিবার। কোভিড পরিস্থিতিতে টিকাকরণ এবং জীবনদায়ী ওষুধের উপর থেকে জিএসটি কিভাবে কমানো যায়, তাই আলোচনার কথা ছিল এই বৈঠকে। কিন্তু কমিটির এই বৈঠকেই বাংলার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তার আলোচনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে অমিত মিত্রর পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু সে সময় বারবার নিজের পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা দিতে চাইলেও সময় দেওয়া হয়নি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে। যার ফলে ফের একবার চরমে উঠল কেন্দ্র-রাজ্য তরজা।
ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠিও লিখেছেন অমিত মিত্র। তার চিঠিতে তিনি জানান, “অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে আমি এই চিঠি লিখছি। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের শেষদিকে আপনার বক্তব্যে বারবার আমার করা পর্যবেক্ষণ উঠে আসে। আপনি কথাগুলো বলেছিলেন আমার নাম করেই। অথচ আমি তার জবাব দিতে চেয়ে বারবার আবেদন জানানোর পরেও আমাকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি । তার বদলে বলার সুযোগ করে দেওয়া হয় উত্তর প্রদেশের অর্থমন্ত্রীকে। তিনি যখন আমার পর্যবেক্ষণ গুলি আমার নাম সহ মুছে দেওয়ার কথা বলেন আপনি তা মেনেও নেন।”
অবশ্য এই ঘটনার সরাসরি বিরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তার পরিষ্কার বক্তব্য এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে। বরং পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র নেটওয়ার্ক কানেকশন খুবই খারাপ ছিল। যার জেরে বারবারই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ” জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের সময় পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর ভিডিও কানেকশন ভালো ছিল না। রাজস্ব সচিব বারবার তাকে জানাচ্ছিলেন তার ভিডিও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। যার জেরে উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় তার কথা কেউ শুনতে পাইনি এবং তিনি তার পর্যবেক্ষণ রাখার জন্য আবেদনও জানাতে পারেননি। বৈঠকে ক্যাডার উপস্থিত ছিলেন তাঁরা সকলেই একথা স্বীকার করবেন।” কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এটা খুবই দুঃখের যে অমিত মিত্র মত একজন বর্ষীয়ান নেতা এহেন অভিযোগ করছেন। এখন আগামী দিনে এই বিতর্ক কোন দিকে মোড় নেয় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।