শাহ-হিমন্তর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে সৌমিত্র খাঁ! গুরুত্ব বাড়ছে বিষ্ণুপুরের সাংসদের? প্রকাশ্যে চমকপ্রদ তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক : একদিকে বিলাসবহুল এক পাঁচতারা হোটেলে চলছে বিজেপির কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ মিটিং। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে এই মিটিং-এ নেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই সময় তাঁর খোঁজ মিলল অপর এক গোপন বৈঠকে। সেই বৈঠকে অমিত শাহর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) এবং বাংলার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয় তীব্র জল্পনা।

বরাবরই সংবাদের শিরোনামে থাকেন সৌমিত্র খাঁ। কখনও তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, কখনও বা নিজের দলের নেতা কর্মীদের গাছাড়া মনোভাব নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। সম্প্রতি লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে আসানসোল – দুর্গাপুরে মেট্রোরেলের প্রস্তাব উত্থাপন করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। এরই সঙ্গে ছিল আসানসোলে এইমস তৈরির প্রস্তাবও। এরপর এদিন বিজেপির তাবড় দুই মাথার সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন সৌমিত্রবাবু।

soumitra 2

এই বৈঠককে ঘিরে উঠে আসছে একাধিক জল্পনা। অনেকেই বলছেন আরও বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বিজেপির তরফ থেকে রাজ্যের সংগঠনে বড় কোনও পদপ্রাপ্তি হতে পারে সৌমিত্রর। কিছুদিন আগেই মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী প্রকাশ্য জনসভা থেকে সৌমিত্র খাঁকে ‘বাঘের বাচ্চা’ বলে অভিহিত করেন। তাই সেই ‘বাঘের বাচ্চার’ দায়িত্ব বাড়তেই পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

এছাড়াও প্রকাশ্যে আসছে আর একটি জল্পনা। যা রীতিমতো চমকপ্রদ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে সুকান্ত মজুমদারের সময়কাল শেষের দিকে। তিনি যে আর রাজ্য সভাপতি থাকবেন না তা একপ্রকার নিশ্চিত। এরপর কে সভাপতি হবেন তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ শুভেন্দু অধিকারী। কিন্ত শুভেন্দু রাজ্য সভাপতি হলে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও জটিল আকার নেবে। দিলীপ ঘোষও ব্যস্ত সর্বভারতীয় স্তরে। তাই অবস্থায় দলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে সৌমিত্র খাঁ-এর নাম উঠে আসতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকেই।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর