বাংলা হান্ট ডেস্ক : এনআরসি নিয়ে সরগরম হয়েছিল আসাম। তারপরে ও তার প্রভাব পড়েছিল বাংলায়। তার প্রভাব মারাত্মক হয়েছিল নাকি মৃদু হয়েছিল তা উপনির্বাচনের রেজাল্ট এ কিছুটা আঁচ করতে পেরেছে বঙ্গবাসী। কিন্তু তৃণমূল যে তার ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে সক্ষম হয়েছিল এই এনআরসির ভীতি দেখিয়ে তা অনেকটাই মেনে নিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নাগরিকপঞ্জি বিল পাস হওয়ার পর থেকেই ঘুরে যেতে পারে ভোটের অংক। কারণেই বিলে পুরোপুরিভাবে যে বিষয়টি উঠে আসে তাতে অনেকটাই শিরে সংক্রান্তি মত অবস্থা বিরোধীদের।
আর এই বিল নিয়ে আলোচনা সভায় মুখ খুললেন অমিত শাহ জবাবি বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গ টেনেই এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, গত ৬ বছরে এই প্রথম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভায় কথা বলতে শুনলাম। ভাল বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্রের বাংলার কথা বলেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, রবীন্দ্রনাথ-বঙ্কিমের বাংলায় দুর্গাপুজোর বিসর্জনে অনুমতি পেতে কেন আদালতে ছুটতে হয়? কেন সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া হয়!
অভিষেক বলেছেন জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধন বিল হল একটা ট্র্যাপ তথা ফাঁদ। কিন্তু আমি বলছি, এটা কোনও ফাঁদ নয়। এ তো বিজেপির ঘোষিত নীতি। কিন্তু বাংলায় যেভাবে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তুষ্টিকরণের রাজনীতি হয়, সেটা ফাঁদ নয়? সেটা তা হলে কী!
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিলের ভবিষ্যত্ কী? এই বিলের ফলাফল কি? তা অনেক বিশেষজ্ঞদের মাথাতে ঘুরপাক খাচ্ছে । কিন্তু বিষয় এখানে নয়। বিষয়টা ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যাবে এই বিল কিন্তু এক অন্য মাত্রা দেবে রাজনৈতিক সমীকরনে।