শহরে ১৯ ঘন্টা ছিলেন! তবুও কেন নির্যাতিতার বাড়ি গেলেন না শাহ? স্পষ্ট করলেন অগ্নিমিত্রা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রবিবার রাজ্য সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এক গুচ্ছ দলীয় কর্মসূচি নিয়ে শহরে প্রায় ১৯ ঘণ্টা ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Amit Shah)। অন্যদিকে আরজিকরের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাজ্যে এখনও জারি রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ আন্দোলন।এই পরিস্থিতিতে অনেকেই অনুমান করেছিলেন তিলোত্তমার বাড়িতে গিয়ে হয়তো তাঁর বাবা-মায়ের সাথে দেখা করে আসবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। 

তিলোত্তমার পরিবারের সাথে কেন দেখা করলেন না অমিত শাহ (Amit Shah)?

কিন্তু গোটা সফরজুড়ে শহরের নানান প্রান্তে সময় কাটালেও শেষ পর্যন্ত তিলোত্তমার বাবা-মায়ের সাথে দেখা না করেই ফিরে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শুধু তাই নয় রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এসে বক্তব্য রাখার সময়ও আরজিকর নিয়ে মাত্র এক লাইন মন্তব্য করেছিলেন। তারপর থেকেই রাজনীতির অলিগলিতে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন। কেন কলকাতায় এসেও তিলোত্তমার বাবা মায়ের সাথে দেখা করলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

এবার এই বিষয়েই মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বুধবার সন্ধ্যায় তিলোত্তম বাবার ডাকেই নাকি, তাঁদের সাথে  দেখা করতে গিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা এবং কৌস্তব বাগচীরা। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তখন অমিত শাহের নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে না আসার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি বিধায়ক সটান বলে দেন, ‘উনি দেখা করার সময় পাননি। ১৯  ঘন্টা হয়তো ছিলেন তবে হাতে সময় ছিল না একদম।

আরও পড়ুন : পড়ে আছে কিশোরের মুন্ডুহীন মৃতদেহ! মাথা কোলে নিয়ে বসে রইলেন মা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

এরপরেই অমিত শহর  ব্যস্ততার ফিরিস্তি দিয়ে বিধায়ক বলেন উনি নাকি দেড়টার সময় হোটেলে ঢুকেছিলেন আর পরের দিন পেট্রোপল তারপর পার্টির অনুষ্ঠানে সল্টলেক গিয়েই সোজা  চলে গিয়েছেন। অগ্নিমিত্রার কথায়, ‘আসলে আমাদের মনের শান্তির জন্য আর দাদা-দিদির (তিলোত্তমার মা-বাবা) শান্তির জন্য বলছিলাম।’

Amit Shah

সেই সাথে তিনি যোগ করেন, ‘এই বিষয়টির তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। এখানে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলার বা করার কিছু নেই। দিদির পাশাপাশি আমিও অমিত শাহকে দেখা করার জন্য চিঠি দিয়েছি। এটা মানসিক শান্তি।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর