‘বেদ-উপনিষদ পড়ব, চাষবাস করব’—অমিত শাহের মুখে কি অবসরের ইঙ্গিত?

Published on:

Published on:

Amit Shah hints political retirement

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনীতি থেকে কি অবসর নিতে চলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)? বিজেপির শীর্ষ নেতা ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এমন ইঙ্গিতে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। বুধবার রাজস্থানের এক অনুষ্ঠানে জানালেন, অবসর নিলে বেছে নেবেন চাষবাস (farming) আর বেদ-উপনিষদ (Vedic texts) চর্চা। এও বললেন, রাসায়নিক সারের চেয়ে প্রাকৃতিক চাষ মানুষের শরীর ও সমাজ—দুইয়ের পক্ষেই মঙ্গলজনক। যদিও রাজনীতি থেকে অবসরের (retirement) নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলেননি তিনি।

সমবায় দফতরকে ‘অভিনব’ বললেন শাহ (Amit Shah)

বিজেপি (BJP) শাসিত রাজস্থান, গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশের মহিলা সমবায় সদস্যদের এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়ে অনেকে খুশি হয়েছিল। কিন্তু আমি সবচেয়ে খুশি হয়েছিলাম সমবায় মন্ত্রক (cooperation ministry) হাতে পেয়ে।” তাঁর মতে, এই দফতরের মাধ্যমে তিনি গ্রাম, মহিলা, পশু ও যুবদের জন্য সরাসরি কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

এই বক্তব্য থেকেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন, অমিত শাহের (Amit Shah) মন পড়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের কাজেই—হয়তো ধীরে ধীরে তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত, চাষ-শাস্ত্রে মন শাহের (Amit Shah)

এর পরেই অনুষ্ঠানে শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট ভাষায় জানান, “রাজনীতি ছাড়ার পর আমি মন দেব বেদ, উপনিষদের পাঠে এবং প্রাকৃতিক চাষাবাদে।” তাঁর যুক্তি, রাসায়নিক সার দিয়ে চাষ করা গম-চাল মানবদেহের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। উল্টে প্রাকৃতিক চাষ (organic farming) শুধু শরীরকে সুস্থই রাখে না, উৎপাদনও বাড়ায়।

তাঁর এই পরিকল্পনা থেকে একাধিক রাজনৈতিক মহল আন্দাজ করছেন, অমিত শাহ (Amit Shah) ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পথেই হাঁটছেন।

অবসরের পর কী করবেন, সেই রূপরেখা দিলেও, ‘কবে অবসর নেবেন’—সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেননি শাহ। তাতে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। তিনি কি ২০২৯-এর লোকসভা ভোটের পর বিদায় নেবেন? নাকি ২০২৬-এর রাজ্যসভা মেয়াদ শেষেই রাজনীতি ছাড়বেন? জবাব মেলেনি। তবে তাঁর এই মন্তব্য থেকেই জল্পনার পারদ চড়ছে—আসলে কি বিজেপির ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারের পথ পরিষ্কার করছেন শাহ?

Amit Shah hints political retirement

আরও পড়ুনঃ “ট্রান্সফার করিয়ে দেব”, সরকারি হাসপাতালে কাঞ্চনের “দাদাগিরি”, প্রশ্নের মুখে তৃণমূল বিধায়ক

শাহ কি ২০২৯-এর আগেই সরে যাবেন?

রাজনীতিতে দীর্ঘদিন থাকার পর এমন ঘোষণা, বিজেপির অন্দরেই নানা গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী অমিত শাহ যদি ধীরে ধীরে সরে যেতে চান, তবে কি দলেও নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে? নাকি চাষবাস ও ধর্মচর্চার আড়ালে তিনি আসলে ভবিষ্যতের কৌশল তৈরি করছেন?