বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah) দেশ থেকে নকশালবাদ (Naxals) নির্মূলের বিষয়ে জোরালো ভাবে নজর দিচ্ছেন। এই বিষয়ে গত মাসে একটি সভাও করেছিলেন তিনি। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূলের বিষয়ে সেই বৈঠকে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সমস্যার শুরু কোথায় এবং কেন তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, যে সকল আধিকারিকরা এই নকশাল (Naxals) দমনে পরাস্ত হয়েছেন, এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমতি শাহ তাদের তথ্যও জানতে চেয়েছেন। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের সমস্ত নকশাল ঘাঁটি আগামী গ্রীষ্মের মধ্যেই নির্মূল করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে সিআরপিএফ।
এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, ‘জনতা আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ বৃহত্তর যুদ্ধ অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রচার অনেকটা সালওয়া জুডুমের নতুন পথের মতো। মোদী এবং ভূপেশ বাঘেল সরকার এই কাজের জন্য হাজার হাজার কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী প্রেরণ করেছে। হেলিকপ্টার, অস্ত্র ও গোলাবারুদের কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে’।
নকশাল বাদ কি?
দেশের একটি বড় সমস্যা হল এই নকশাল বাদ। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা চারু মজুমদার ও কানু সান্যালের দেশের ক্ষমতা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন হল এই নকশাল আন্দোলন। ১৯৬৭ সালে এই আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ি থেকে শুরু হয়েছিল। চীনের কমিউনিস্ট নেতা মাও তু তুংয়ের অন্যতম অনুরাগী ছিলেন চারু মজুমদার। তিনি মনে করতেন, ভারতের কৃষক এবং শ্রমিকদের দুর্দশার জন্য সরকার পক্ষ দায়ী।