বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এমাসের মাঝামাঝি বাংলায় আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। কিন্তু আচমকাই ওনার সফরসূচি পরিবর্তন হয়। মাসের মাঝামাঝির বদলে একেবারে শেষের দিকে অমিত শাহ বাংলায় আসছেন। আর এর প্রধান কারণ হল দুটি। প্রথমটি মাসের প্রথম দিকে বাংলায় আবারও আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি জনসভা ছাড়াও করবেন একটি রোড শো। আর দ্বিতিয়ত হল ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই কারণেই অমিত শাহের বাংলা সফরসূচি পিছিয়েছে।
অমিত শাহ ৩০ জানুয়ারি রাজ্য সফরে আসবেন। প্রথমদিন তিনি বনগাঁয় একটি জনসভা করবেন এবং সেখানেই দুপুরের খাবার খাবেন। এরপর বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সাথে মতুয়াদের দাবি-দাবা নিয়ে আলোচনা করবেন। এরপরের দিন ৩১ তারিখ হাওড়ায় জনসভা হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের।
রাজ্য বিজেপির নেতাদের দাবি অনুযায়ী, মেদিনীপুর কলেজ মাঠের জেরক্স কপি হয়ে উঠবে হাওড়ার অমিত শাহের জনসভা। সেদিন মেদিনীপুরে যেমন শুভেন্দু অধিকারী সমেত একঝাক তৃণমূল নেতা, বিধায়ক ও একজন সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তেমনই হাওড়ায় সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।
জানিয়ে রাখি, হাওড়ার তৃণমূলের তিন নেতাকে নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। সবথেকে বড় নাম হল রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নাম আসছে তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার। এরপর যার নাম উঠে আসছে সদ্য মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করা লক্ষ্মীরতন শুক্লার নাম। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লক্ষ্মীরতন শুক্লার প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোনও ভালো মানুষই আর তৃণমূল করতে চাইছে না।” দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দেন যে, তৃণমূলের প্রতি বিক্ষুব্ধদের জন্য বিজেপির দরজা খোলা আছে।
তবে এরা ছাড়াও তৃণমূলের আরও কয়েকজন নেতা, বিধায়কের নাম রয়েছে হিটলিস্টে। বিজেপি এদের সবাইকে হাওড়া থেকে দলে নিতে চায়। আর অমিত শাহের সভাকে আরও বেশি জাঁকজমক পূর্ণ করতে বেশি সংখ্যক তৃণমূল নেতাদের সাথে যোগাযোগ চলছে বিজেপির।