বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আঁচ বারংবার লেগেছে ভারতের বুকে। অতীতের গুজরাট দাঙ্গা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের অগ্নিপ্রকল্পের বিক্ষোভের জেরে বারবার বিধ্বস্ত হয়েছে দেশবাসী। ইতিমধ্যেই ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে রায় ঘোষণা করা হয়েছে আর সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অমিত সাহা স্পষ্টত উল্লেখ করেন, যারা গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে “রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” অভিযোগ তুলেছেন তাদের এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। নরেন্দ্র মোদীর স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি অমিত শাহ কঠোর সমালোচনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অমিত শাহের সংযোজন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝানোর ক্ষমতা আমার নেই’।
গুজরাট দাঙ্গার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পাশাপাশি সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে অগ্নিপথ প্রকল্পের জেরে দেশজুড়ে হঠাৎ তৈরী হওয়া অস্থির পরিস্থিতির কথাও। অগ্নিপথ প্রকল্পের জেরে বিক্ষোভের উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলাতেও। বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন, নষ্ট হয়েছে সরকারের একাধিক সম্পত্তি। এই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, রাজ্য সরকারেরই প্রধান দায়িত্ব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। পাশাপাশি রাজ্যের কাছে প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবস্থা না থাকলে তারা কেন্দ্রের সহায়তা চাইতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেইসঙ্গে বিজেপি নেতা আরও জানান, “রাজ্য যদি বলে তবেই কেন্দ্র সৈন্য পাঠাতে পারে এবং সেক্ষেত্রে অবিলম্বে বাহিনী পাঠানো হয়।”
যদিও অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একাধিক রাজ্যের বিরোধী নেতারা দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত এবং কেবল কেন্দ্রের থেকে আদেশই মেনে চলে। এই প্রসঙ্গে অমিত শাহের উত্তর, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝানোর ক্ষমতা আপনার বা আমার কারোরই নেই।” ফলত বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েও কেন্দ্র এবং রাজ্যের সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।