বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের শুরু নতুন বিতর্ক। গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীকে যদি টানা ৩০ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হয়, তবে ৩১ তম দিন থেকে আর কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা যাবে না। সম্প্রতি এমনই প্রস্তাব আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার লোকসভায় এমনই একটি বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)
সূত্রের খবর, বুধবার লোকসভায় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি পেশ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, সংবিধানের ৭৫ অনুচ্ছেদে নতুন ৫(এ) ধারা যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কিংবা কোনও রাজ্যের মন্ত্রীকে যদি গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে ৫ বছর কিংবা তার বেশি দিন কারাদণ্ড হতে পারে, এবং সেক্ষেত্রে জেল হেফাজতে টানা ৩০ দিন থাকার পর তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে কিংবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই মন্ত্রীকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস জেলে থেকেও ইস্তফা দেননি। জেল থেকেই দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, নতুন আইন কার্যকর হলে এমন পরিস্থিতিতে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। তবে বিলটিতে উল্লেখ করা আরএকটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পর ফের পদ ফিরে পেতে পারেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী।
এই বিল নিয়ে বিরোধীদের ক্ষোভ তুঙ্গে। কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, “পক্ষপাতদুষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি দিয়ে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করিয়ে সরকার নড়বড়ে করে দেওয়ার সেরা উপায়।” এই একই সুরে সুর মিলিয়েছে তৃণমূলও। দলের এক রাজ্যসভার সাংসদ এক্স (X) হ্যান্ডলে লিখেছেন, চার্জশিট বা আদালতের রায় ছাড়াই কেন্দ্র বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের সরাতে পারবে। এর ফলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার আরও বাড়বে বলেই তাঁদের অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ বারাসাত-তমলুক বৈঠকে বুথে বুথে নজরের নির্দেশ, নন্দীগ্রাম নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিলেন অভিষেক?
সূত্রের খবর, অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার শুধু এই সংবিধান সংশোধনী বিলই নয়, আরও দুটি বিল লোকসভায় পেশ করবেন। সেগুলি হল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনিক সংশোধনী বিল এবং জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল, ২০২৫। উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশন শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এখন নজর, এই বিতর্কিত বিলগুলি সংসদে কতটা উত্তাপ ছড়ায় সেই দিকে।