বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাথরস কাণ্ডে ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি গুলো চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে। এজেন্সি গুলো প্রমাণ পেয়েছে যে, এই কাণ্ডের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আর যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) বদনাম করার বড়সড় ষড়যন্ত্র কষা হয়েছে। এজেন্সি গুলোর তদন্তে এটাও জানা গিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক আর ইসলামিক দেশ গুলো এরজন্য ফান্ডিংও করছে। ওয়েবসাইটে বিরোধিতা প্রদর্শনের আড়ালে দেশ আর উত্তর প্রদেশে দাঙ্গা করানো আর দাঙ্গার পর বাঁচার পদ্ধতি বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুজব ছড়ানোর জন্য মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি গুলো।
এজেন্সি অনুযায়ী, নির্যাতিতার মৃত্যুর পর আচমকাই জাস্টিস ফর হাথরস ওয়েবসাইট চর্চায় চলে এসেছে। দেখতে দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ওই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যাদের এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে তাঁদের সবার আইডি ভুয়ো। তদন্তকারী সংস্থা গুলোর হাতে ওয়েব সাইটের তথ্য নিয়ে বড়সড় প্রমাণ হাতে এসেছে।
আমেরিকায় হওয়া দাঙ্গার মতো উত্তর প্রদেশের এই ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে দাঙ্গা করানোর প্রস্তুতি চলছে। সংখ্যাগুরু সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য মুসলিম দেশ আর ইসলামিক কট্টরপন্থী সংগঠন গুলোর তরফ থেকে টাকা ঢালা হচ্ছে। সিএএ হিংসা যুক্ত উপদ্রবি আর দেশবিরোধী সংগঠন গুলো যোগীর থেকে বদলা নেওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইট বানিয়েছে।
ওয়েবসাইটে এও বলা হয়েছে যে, মুখে মাস্ক পরে পুলিশ আর প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে আধিকারিকদের নিশানা করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে বিভজন সৃষ্টি করা আর রাজ্যে হিংসার বিজ বপন করার জন্য ওয়েব সাইটে নানান কায়দা শেখানো হচ্ছে।
ওয়েবসাইটে অনেক আপত্তিজনক কন্টেন্টও পাওয়া গিয়েছে। দাঙ্গার এই ওয়েবসাইটে ভলান্টিয়াদের সাহায্যে ঘৃণা ভরা ভাষণের স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়েছে। তদন্তে সামনে এসেছে যে, পিএফআই আর এসডিপিআই এই ওয়েবসাইটকে তৈরি করতে সাহাজ্য করেছে। রবিবার রাতে তল্লাশি শুরি হতেই এই ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায়। মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফেক নিউজ, ফটোশপ ছবি, গুজব, এডিটেড ভিসুয়াল গুলোকে দাঙ্গা করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।