আমফানকে জাতীয় বিপর্যয়ের ঘোষণার দাবি করল সিপিআই(এম), মমতাকে মনে করাল আয়লায় অসহযোগিতার কথা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার দাবি জানাল ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) বা C.P.I(M) । পাশাপাশি এই দাবি তোলা হয়েছে দলের ছাত্র সংগঠন ভারতীয় ছাত্র ফেডারেশন (S.F.I) এর তরফ থেকেও। পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এদিন বাংলা ও ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিধ্বংসী ঝড়ের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় মোদি সরকারের কাছে এই ঝড় কে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে চিহ্নিত করতে বলেছেন।

selim 2

কেন্দ্রের কাছে এই দাবির পাশাপাশি বিধ্বংসী তাণ্ডব মোকাবিলায় ত্রাণ, পুনর্বাসনে সকলকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ারও ডাক দেওয়া সিপিএিম-এর তরফে। মহম্মদ সেলিম বলেছেন, তিনি জীবনে এত ভয়ংকর ঘূর্নিঝড় দেখেন নি। দলের কমিউনিটি কিচেন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের কি অবস্থা সে ব্যাপারেও কোনো খবর পাননি।

পাশাপাশি, ২০০৯-এর মে-তে আঘাত হেনেছিল আয়লা। সেই সময় রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। সেই সময়ে খবর অনুযায়ী তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর কাছে ১০০০ কোটি টাকা সাহায্যের জন্য আবেদন করলে তৎকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে ব্যাপারে রাজি ছিলেন না। তিনি সিপিআই(এম) এর কর্মীদের দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। যদিও সেই সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে কলকাতাতেই বৈঠক করেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। সেই অসহযোগিতার কথাও মনে করিয়েছে সি.পি.আই.(এম)

প্রসঙ্গত, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান এর ৩৬ ঘন্টা পার হতে চললেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি দক্ষিণ এর জেলাগুলি। বুধবার থেকে অনেক এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা । অনেকের ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না৷ স্থিতিশীল নয় মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ব্যাবহার করতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।সাধারণ মানুষের জীবন একেবারে জেরবার৷ মৃতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে।

সম্পর্কিত খবর