২৭ জানুয়ারি CAA বিরোধী প্রস্তাব আনা হবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথা তো শুরুই হয়ে গিয়েছিল, দিনক্ষণটাই ঠিক হওয়ার অপেক্ষা ছিল, তাও হয়ে গেল। কেরল, পাঞ্জাবের পর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাতেও সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস হতে চলেছে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিরোধীরা রাজী থাকলে ৩-৪ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাতেও ওই প্রস্তাব পাস হবে, সেই সঙ্গে তিনি  আরও জানিয়েছিলেন,  অন্যান্য রাজ্যেরও উচিত্ সেই সব রাজ্যের বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাস করা।এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, ২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনা হবে।

partha chatterjee

প্রসঙ্গত, কেরল সরকার প্রথম এই প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সিএএ আইন অসাংবিধানিক! এরপর তারা এমনকি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে, যা সিএএ বিরোধিতায় এক নজিরবিহীন ঘটনা। ইতিমধ্যেই ৬০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

এরপর দিনদুয়েক আগে পাঞ্জাবের বিধানসভায় পাস হয়েছে সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব। তাদের বক্তব্য, সিএএ আইন বৈষম্যমূলক, যা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিকে নষ্ট করে দেবে।

সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে প্রথম থেকে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দেশে যেমন বিধানসভায় সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনি অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও এই বিরোধিতার আবেদন করেছেন। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির উদ্দেশে তিনি আরও সমযোজন করেছেন. এইপিআর আসলে এনআরসি-কেই ঘুরপথে আনতে চলেছে। দেশের সব রাজ্য কেন্দ্রের ডাকা এনপিআর-এর বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও বাংলার কোনও প্রতিনিধি ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। এনপিআর, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে নিজের অবস্থানে যেমন কেন্দ্র অনড়, তেমনি তার লাগাতার বিরোধিতা চালিয়ে যেতেও দৃঢ় সংকল্প নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

 


সম্পর্কিত খবর