বাংলাহান্ট ডেস্ক: সকাল সকাল ফের খারাপ খবর। আবারো আত্মহত্যার চেষ্টা (Suicide Attempt) করার মতো ঘটনা টলিপাড়ায়। জানা যাচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন এক উঠতি মডেল (Model)। ২৪ জুন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তবে পুলিসের তৎসরতায় এযাত্রা প্রাণে বেঁচে গেলেন ওই উঠতি মডেল। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পরিবারকে দোষারোপ করেছেন তিনি।
খবর বলছে, ওই উঠতি মডেলের নাম দেবলীনা দে। বছর ২৮ এর তরুণী আদতে কালনার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন কলকাতায়। মুকুন্দপুরে উত্তলিকা আবাসনে ভাড়া থাকতেন তিনি। সবে সবে শুরু করেছিলেন কেরিয়ার। টুকটাক সিরিয়ালে কাজও পেতেন। কিন্তু রোজগার তেমন হত না। সমস্ত খরচ বাড়ির লোকজনদেরই বহন করতে হত।
জানা যাচ্ছে, পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে এ নিয়ে মনোমালিন্য ছিল দেবলীনার। গত দেড় বছর ধরে মুকুন্দপুরে ভাড়া থাকছেন তিনি। মাসে দশ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া দিতে হত তাঁকে। সঙ্গে রান্নার সহকারীর বেতন সহ অন্যান্য খরচও ছিল। সে সবই বাড়ির লোকের থেকে নিতেন তিনি।
গত ২২ জুন নিজের ২৮ তম জন্মদিনে কালনার বাড়িতে উদযাপন করেছিলেন দেবলীনা। সেদিনই বাবাকে জানান, একটি ফ্যাশন বুটিক খুলতে চান তিনি। সেই বাবদ প্রায় লাখখানেক টাকা চেয়ে বসেন ওই উঠতি মডেল। শুনেই পত্রপাঠ নাকচ করে দেন তাঁর বাবা। আপত্তি জানান ভাইও।
এই নিয়ে নাকি ভাইয়ের সঙ্গে একচোট কথা কাটাকাটি হয়ে যায় দেবলীনার। বিষয়টা হাতাহাতিতে গড়ানোর পর সেদিন রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ার সব প্ল্যাটফর্ম থেকে ভাইকে ব্লক করে দেন মডেল। পরের দিন পরিবারের সদস্যরাই একটি গাড়ি ভাড়া করে কলকাতায় পাঠান তাঁকে।
মুকুন্দপুরে ফিরে আসেন দেবলীনা। কিন্তু সমস্যা হয় গতকাল। এদিন নরেন্দ্রপুরে শুটিং ছিল তাঁর। সকাল বেলায় শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুপুরে হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান মডেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘বেঁচে থাকার জন্য অনেক স্ট্রাগল করেছি। সবকিছুর জন্য শুধু আমার পরিবার দায়ী। এখন আমার শান্তি চাই। বিদায়।’
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর। তবে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিস সঠিক সময়ে অ্যাকশন নেওয়ায় রক্ষা পান মডেল। তবে সঙ্কটজনক অবস্থায় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। মডেলের মায়ের দাবি, মেয়ে খুব শর্ট টেম্পার। তাই তিনি সঙ্গে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আসতে দেননি মডেল। তারপরেই এই ঘটনা।