বাংলাহান্ট ডেস্ক : জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিমন্ত্রণও পাননি, অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন যুবক। ঘটনাটি কে ঘিরে ক্রমশ দানা বাঁধছে রহস্য। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরের ভীমপুর থানার বাগবেড়িয়া পঞ্চায়েতের ময়দানপুর এলাকায়। নিমন্ত্রণ না পেলেও জামাইষষ্ঠীতে প্রত্যেক জামাই এর মতো তিনিও গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ি। স্ত্রীকে শাঁখা কিনে দেন। এরপর বাড়ি ফেরার পথেই তিনি কীটনাশক খান বলে তাঁর পরিবারের দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বছর ১১ আগে সরোজিতের সঙ্গে সুচিত্রার বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সরোজিৎ এবং সুচিত্রার মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।সরোজিৎ বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। তিনি একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। এর মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে সুচিত্রা ভীমপুরে বাপের বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীকে বার বার বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সুচিত্রা ফিরতে চাননি।
পরিবার সূত্রে জানা যায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন সরোজিৎ। ওই দিন তিনি স্ত্রীকে শাঁখা কিনে দেন উপহার হিসাবে। এর পর দুপুরের দিকে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়ি ফেরার পথেই তিনি কীটনাশক খান বলে তাঁর পরিবারের দাবি। বাড়ি এসে সরোজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সরোজিতের বাবা ধীরেন্দ্র দাস জানান, ‘‘জামাইষষ্ঠীর দিন ও শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল স্ত্রীকে আনতে। কিন্তু দুপুরের দিকে বাড়ি চলে আসে। ফিরেই বমি করতে শুরু করে, পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বউমা এখানে ফিরতে চাইত না। ও মনখারাপ করে থাকত। তার জন্যই হয়তো আত্মহত্যা করেছে।’’
সরোজিতের স্ত্রী সুচিত্রা বলছেন, ‘‘ও মানসিক ভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল। কাজের জন্য মাস খানেক আগে আমরা একসঙ্গে বাদকুল্লা গিয়েছিলাম। তবে ও আমাকে মারধর করত দিনের পর দিন। এই পরিস্থিতিতে দুই ছেলেকে নিয়ে আমি বাপের বাড়ি চলে আসি। ভয়ে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চাইনি।’