বাংলা হান্ট ডেস্ক : পুলিসের গাড়ির ধাক্কায় এক নাবালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল নদিয়ার (Nadia) ধানতলা এলাকায়। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। ঘটনার পরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পুলিস বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
ঘটনাশ আহত হয়েছেন পুলিস কর্মী-সহ বেশ কয়েকজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় রানাঘাট হাসপাতালে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোর ধরাকে কেন্দ্র করেই সমস্যার সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় ক্রমেই গরু চোরের সংখ্যা বাড়ছে। তা নিয়ে একাধিকবার পুলিস প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
সোমবার রাতে এক জনকে গরু চোর সন্দেহে এলাকাবাসীরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। সকালে সেই যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়ে পুলিস। অভিযোগ, পুলিস ভিড়ের মধ্যেই গতিবেগ বাড়িয়ে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে আসতে চায়। তখনি গাড়ির নীচে পড়ে যান বেশ কয়েকজন। পুলিসের গাড়িতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক বালকের। মারাত্মকভাবে আহত হন আরও দু’জন।
এদিকে পুলিস এই কথা স্বীকার করছে না। বরং গরু চুরির অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিস পাল্টা অভিযোগ তুলেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে নদিয়ার ধানতলা। অভিযুক্তদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তার জেরে দুই পুলিস কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। গ্রামবাসীদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিসের গাড়ির চাকায় তিনজন পিষ্ট হন। আহতদের মধ্যে ১৫ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। বাকি দু’জন রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিসের দাবি, গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ পেয়ে গ্রামে হানা দিয়েছিল পুলিস। তাঁদের দাবি, অন্ধকারে গ্রাম ছেড়ে দ্রুতগতিতে বেরনোর সময় গ্রাম ছেড়ে বেরনোর সময় গাড়িতে দুজনের ধাক্কা লাগে। তাঁরা আহত হয়েছেন। যদিও মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি পুলিস। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত নদিয়ার কুলগাছি গ্রাম। এলাকায় র্যাফ ও বিশাল পুলিস বাহিনী টহল দিচ্ছে।