বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা ছবিতে মহিলা খলনায়িকাদেরও যে দাপট থাকতে পারে তা প্রথম দেখিয়েছিলেন অভিনেত্রী অনামিকা সাহা (Anamika Saha)। তিনি কোনো ছবিতে থাকলে নায়ক নায়িকার থেকেও বেশি লাইমলাইট পেতেন। বিশেষ করে তাঁর ‘বিন্দু মাসি’ চরিত্রটি ভুলে গিয়েছেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যথেষ্ট কঠিন।
দীর্ঘ ১৭ বছর আগে পর্দায় এসেছিলেন বিন্দু মাসি। তারপর থেকে আর খলনায়িকার চরিত্রেও দেখা যায়নি অনামিকাকে। শেষমেষ এত বছর পর আবারো বিন্দু মাসি হয়েই বড়পর্দায় ফিরছেন তিনি। সৌভিক দের পরিচালনায় ‘বরফি’ ছবিতে ফের দাপুটে খলনায়িকা হিসাবে দেখা যাবে তাঁকে।
মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন অনামিকা। মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসার পর অন্য মন্ত্রীদের শাসন বা কোনো সমস্যার সমাধান কীভাবে করেন সেটা নিয়েই ছবির গল্প। জানা যাচ্ছে, এক সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। যদিও বিন্দু মাসি চরিত্রটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আর সেই কারণেই অনামিকা রাজি হন ছবিটি করতে।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, একটি শর্তেই তিনি রাজি হয়েছিলেন বিন্দু মাসি চরিত্রটিতে অভিনয় করতে। পরিচালককে তিনি পরিস্কার বলে দিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক। তাই উলটো পালটা কিছু হলে তিনি করবেন না ছবিটা। এই শর্তেই পর্দায় মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছিলেন অনামিকা।
তবে এত বছর পর বিন্দু মাসির লুক নিয়ে আবেগঘনও হয়ে পড়েন তিনি। অনামিকা জানান, এখনো গ্রামেগঞ্জে স্টেজ শো, মাচা করতে গেলে কেউ তাঁর নাম ধরে ডাকে না। সবাই বলে ‘বিন্দু মাসি’। শুধু তাই নয়, তাঁর বেশিরভাগ ছবির সংলাপই মুখস্থ বলে যান দর্শকরা। অনামিকা বলেন, একজন শিল্পীর কাছে এটাই সবথেকে বড় প্রাপ্তি।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ঘাতক’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল বিন্দু মাসি চরিত্রটিকে। বাংলা ছবির জগতে আজো আইকনিক হয়ে রয়েছে চরিত্রটি। বরফি ছবিতেও অনামিকার কিছু সংলাপ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তিনি ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, অরিত্র দত্ত বণিকরা।