বাংলাহান্ট ডেস্ক : রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে নয়া মোড়। বগটুই হত্যা কাণ্ডে প্রথম থেকেই উঠে এসেছিল তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের নাম। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে তারপীঠের একটি হোটেল সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। আপাতত ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। এবার এই মামলাতেই উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য।
বগটুই মামলার মূল অভিযুক্ত আজাদ চৌধুরী। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকেও। গোয়েন্দাদের তদন্তে জানা যাচ্ছে যে বগটুই গ্রামে গণহত্যা ঘটার ঠিক আগে এবং পরে আনারুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল আজাদের। একই সঙ্গে এই পুরো ঘটনার পিছনে জেলার এক তাবড় নেতার নামও উঠে এসেছে। সেই নেতার নাম প্রকাশ করতে না চাইলেও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন যে তাঁর সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগের একাধিক স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর থেকে কোনও রকম অপরাধই স্বীকার করেননি আনারুল। উলটে আদালতে তিনি জানিয়েছেন যে গ্রেপ্তার নয়, বরং ‘দিদির’ নির্দেশেই আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি। তাঁর এও দাবি যে তিনি সম্পুর্ণ নির্দোষ। শুক্রবার আদালতেও এমনটাই দাবি করেছেন আনারুলের আইনজীবী। তাঁর দাবি, ‘বগটুই মামলায় প্রথম দায়ের হওয়া এফআইআর এ আনারুল হোসেনের নাম না থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেপ্তার করা হল তাঁকে?.গ্রেপ্তার যদি করতেই হত তাহলে আগে কেন করা হল না? ঘটনার দিন থেকে এলাকাতেই ছিলেন তিনি।’
শুক্রবারই এই মামলায় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল পৌঁছায় বাগটুইতে। সেখানে সোনা শেখের বাড়িতে গিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয় সবকিছু। উল্লেখ্য এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল ৭ টি দেহ। গ্রামবাসীদের অবশ্য অভিযোগ, আগে কুপিয়ে খুন করে দেহগুলি বড়িতে ঢুকিয়ে আগুন লাগানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের বিশেষ দল জানিয়েছে নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করলেই সমস্ত সত্যি জানা যাবে। কীভাবে আগুন লাগল, খুনের আগে নাকি পরে আগুন লাগানো হয়েছিল জানা যাবে সবই।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা