এ বার ডিম, সবজি টুকুও পাতে পড়বে না অঙ্গনওয়াড়ির খাবারে? প্রতিবাদে সরব কর্মীরা

Updated on:

Updated on:

Anganwadi Workers stopping vegetables and eggs fear of disruption in Anganwadi services on September 1

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বিডিও অফিসের সামনে উপস্থিত হলেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মহিলারা (Anganwadi Workers)। সেন্টারে প্রয়োজনমতো সবজি ওর ডিম না থাকায় বিক্ষোভ দেখালেন কান্দির অঙ্গনওয়াড়ি মহিলার। তাঁরা জানান, এরপর থেকে যদি পরিমান মতো খাদ্য না পাওয়া যায়, তাহলে অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi) স্কুলগুলিতে শুধু খিচুড়ি অথবা শুকনো ভাতের সঙ্গে ছাতু মাখিয়ে দেওয়া হবে।

সবজি ও ডিম বন্ধে অনড় কর্মীরা, ১ সেপ্টেম্বর অঙ্গনওয়াড়ি পরিষেবায় ভাঁটা পড়ার আশঙ্কা (Anganwadi Workers)

কান্দিতে (Kandi) বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন সেখানকার অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi Workers) কেন্দ্রের মহিলারা। তারা জানান সেন্টার চালানোর জন্য খরচের টাকা ধার হিসেবে আর স্বামীরা দিতে চাইছেন না। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে ভরতপুর ১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi) কেন্দ্রগুলিতে মিলবে না সবজি ও ডিম। সেখানে শুধুমাত্র খিচুড়ি অথবা শুকনো ভাতের সঙ্গে মিলবে ছাতু মাখা।

Anganwadi Workers stopping vegetables and eggs fear of disruption in Anganwadi services on September 1

আরও পড়ুন: স্বাদে অনবদ্য ও পুষ্টিতে ভরপুর! বাড়িতে মাত্র ১৫ মিনিটে ট্রাই করুন ‘হেলদি’ স্ন্যাক্সগুলো…

বুধবার বিডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে এমনই হুঁশিয়ারি জানালেন অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা। পাশাপাশি বিডিও কে ঘিরে তারা বিক্ষোভ দেখান। এবং স্মারকলিপীয় জমা দেন। এই বিষয়ে বিডিও দাওয়া শেরপা জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের (Anganwadi Workers) সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতর কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসনের নির্দেশমত কাজ করা হবে।

তবে এই বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা (Anganwadi Workers) জানান, তারা প্রতিটি কেন্দ্র চালানোর জন্য ৯০০০ টাকা করে পান। তাই সেখানে নিজেদের সান্মনিক সহ অন্যান্য খরচ চালাতে হয়। পাশাপাশি বাজার থেকে বাকিতে সবজির ডিম ও রান্নার গ্যাসও কিনতে হয়। সে সময় স্বামীদের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।

যদিও এর আগে বহুবার জানানোর পরও কোন সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে ডিম ও সবজি। এই বিষয়ে ভরতপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi) কেন্দ্রের কর্মী হাসানাহারা বেগম জানান, গত জুন মাস থেকে সবজি ও ডিমের টাকা দেওয়া হয়নি। বাজারে প্রচুর পরিমাণে বাকি পড়ে রয়েছে। যার কারণ বশত স্বামীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে কেন্দ্র চালাতে হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমানে আর টাকা ধার দেবেন না বলে জানিয়েছেন স্বামী। তাই তারা ১ সেপ্টেম্বর থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সবজি ও ডিম না দেওয়ার বিষয়ে অনড় হয়েছেন।