বাংলাহান্ট ডেস্ক : সংবাদ শিরোনামে এখন প্রায়শই উঠে আসছে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা। সরকারি হাসপাতাল থেকে শিক্ষাঙ্গন সর্বত্রই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর মাঝেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এল অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মেয়েদের হস্টেলে ঢুকে নাবালিকা শিশুদের যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল এক কিশোরের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা যা করল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
অরুণাচলে (Arunachal Pradesh) শিশুদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে
জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) লোয়ার দিবাং ভ্যালির রোয়িং শহরে কাজ করত অভিযুক্ত কিশোর। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, আসলে অসমের বাসিন্দা ওই কিশোর। অভিযোগ, নিরাপত্তায় গাফিলতি থাকার সুযোগ নিয়ে এলাকার একটি স্কুলের হস্টেলে (Arunachal Pradesh) প্রবেশ করে নাবালিকা মেয়েদের যৌন হেনস্থা করত সে। বেছে বেছে ছয় থেকে আট বছরের শিশুদেরকেই নিশানা বানানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
পুলিশে অভিযোগ জানান এক অভিভাবক: নির্যাতিতা শিশুদের বয়স খুবই কম হওয়ায় তারা প্রথমে বুঝেই উঠতে পারেনি ঘটনার গভীরতা। পুলিশ সূত্রে খবর, পরে পেটে ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে ব্যাপারটা অভিভাবকদের কাছে পৌঁছায়। তারাই সন্তানদের নিয়ে হাসপাতালে (Arunachal Pradesh) যান। সেখানে চিকিৎসা করাতে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। জানা গিয়েছে, প্রথমে একটি শিশুর মা এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত কিশোরকে।
আরও পড়ুন : অনুব্রতকাণ্ডে তদন্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, হাইকোর্টে বিচারপতির ধমক খেয়ে বেকায়দায় জাতীয় মহিলা কমিশন!
ক্ষুব্ধ জনতার হাতে পড়ে অভিযুক্ত: কিশোর গ্রেফতার হতেই শুক্রবার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে খবর। সেইসঙ্গে জানান যায়, আরও বেশ কয়েকজন মেয়েরাই নাকি তার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। ওইদিন বিকেলে রোয়িং (Arunachal Pradesh) থানার সামনে জমায়েত করেন বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ক্ষুব্ধ জনতা থানার মধ্য ঢুকে ভাঙচুর চালায়। অভিযুক্ত কিশোরকে টেনে বের করে এনে শুরু গণপিটুনি। তাতেই মৃত্যু হয় কিশোরের।
আরও পড়ুন : মাত্র ৪ বছরেই এই! ছেলে ঈশানের যা কীর্তি সামনে আনলেন নুসরত… দেখে হতবাক নেটিজেনরা
কিন্তু থানার সামনে এমন ঘটনা ঘটল কী করে? জানা যাচ্ছে, ওই সময় বিক্ষোভকারীদের তুলনায় থানায় পুলিশের সংখ্যা কম ছিল। অন্য থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী যতক্ষণে এসে পৌঁছায় ততক্ষণে মারা গিয়েছে ওই কিশোর।