জনসংখ্যা বাড়ানোর কাজ তো পশুরাও করে! বললেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী একবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মধ্যেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে (China) ছাপিয়ে যাবে ভারত (India)। এই পরিসংখ্যান দিচ্ছে স্বয়ং রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nation)। আর, এই তথ্য সামনে আসার পরই তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে দেশ জুড়ে। অবশেষে এই বিতর্কে মাঠে নামলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagawat)। কর্নাটকের (Karnataka) একটি সভায় যোগ দেন তিনি। এই সভা থেকেই বক্তৃতার সময় তিনি বলেন শুধু খাওয়া আর জনসংখ্যা বাড়ানো তো পশুরা করে। ভাগবতের এই মন্তব্যের পরই আলোড়ন শুরু হয়ে গেছে দেশ জুড়ে।

যে শক্তিশালী সে জীবনে বেঁচে থাকবে, জঙ্গলের এটাই নিয়ম : কর্নাটকের কালবুর্গে অবস্থিত শ্রী সত্য সাঁই ইউনিভার্সিটি ফর হিউম্যান এক্সিলেন্সের প্রথম দীক্ষিান্ত সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মোহন ভাগবত। তিনি সমাবেশে বলেন, ‘মানুষের কাছে যদি বুদ্ধি না থাকতো তাহলে মানুষ পৃথক সবচেয়ে বেশি দুর্বল প্রাণী হতো। কিন্তু শুধুমাত্র বুদ্ধির জোরেই আজ সে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট প্রাণী। শুধু মাত্র খাওয়া-দাওয়া করা আর জন সংখ্যা বাড়ানোই মানুষের একমাত্র কাজ নয়। শুধু এই কাজ তো পশুরাও করে।’ তিনি আরও বলেন, যে শক্তিশালী সে জীবনে বেঁচে থাকবে, জঙ্গলের এটাই নিয়ম। কিন্তু মানুষের ভাবনার পদ্ধতি একদম আলাদা। মানুষ মনে করে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বাঁচতে সাহায্য করবে।’

১১ জুলাই সোমবার পালিত হয়েছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এই দিনেই রাষ্ট্রপুঞ্জ একটি রিপোর্ট পেশ করে। যেখানে স্পষ্ট বলা হয় ২০২৩ সালের মধ্যেই চিনের জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের দেশে পরিণত হবে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী চিনের বর্তমান জনসংখ্যা ১.৪২৬ আরব। ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১.৪১২ আরব। অনুমান করা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১.৪২৯ আরব, যা চিনের থেকে বেশি। ২০৫০ সালে ভারতের জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১.৬৬৮ আরব। অপরদিকে জনসংখ্যা হ্রাস হবে চিনে। ২০৫০ সালে চিনের জনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে ১.৩১৭ আরব।

caste e1454939279943

হিন্দু সমাজে প্রধান সমস্যা হলো অস্পৃশ্যতা এবং বৈষম্য: কর্নাটক সফরে মোহন ভাগবত ধর্মান্তর বিষয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ধর্মান্তর মানুষকে একাকী বানিয়ে দেয়। যে মানুষ ধর্মান্তরিত হয়, সেই মানুষ নিজের শিকড় থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই জন্যই আমাদের ধর্মান্তর বন্ধ করা উচিত।’ হিন্দুধর্মের গোঁড়ামিকেও নির্মূল করতেও নির্দেশ দেন তিনি। মোহন ভাগবত বলেন, ‘হিন্দু সমাজে প্রধান সমস্যা হলো অস্পৃশ্যতা এবং বৈষম্য। এই বিষয়গুলি মানুষের মনে গেঁথে গেছে। এই বিষয়গুলি শাস্ত্রে নেই। সুপ্রাচীন কাল থেকেই আমাদের মাথায় এগুলো ঢুকে গেছে। সময় লাগবে এই ভুল চিন্তা ভাবনাগুলিকে মন থেকে দূর করার জন্য।’


Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর