বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনা কাঁটায় ভরা আশঙ্কার বছরে সুখবর এসেছিল অঙ্কিতা মজুমদার পালের (Ankita Majumder Paul) সংসারে। প্রথম বারের জন্য মা ডাক শুনেছিলেন তিনি। ২০২০ তেই অঙ্কিতার কোল আলো করে আসে মা লক্ষ্মী, ছোট্ট আরুণ্যা। এই দু বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে নিজের মেয়ের দেখভাল করেই কাটিয়েছেন তিনি। মেয়ে একটু বড় হতেই আবারো চেনা জগতে ফিরছেন অঙ্কিতা।
জি বাংলায় সদ্য শুরু হওয়া সিরিয়াল ‘গৌরী এলো’র হাত ধরেই কামব্যাক করছেন অঙ্কিতা। সিরিয়ালে তাঁর চরিত্রটিও একজন মায়ের। নায়ক ঈশানের বাড়ির ছোট বউ আনন্দীর ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। তাঁর স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন দ্বৈপায়ন দাস। অঙ্কিতা জানান, তাঁর মতো আনন্দীও সংসার সন্তান সামলাতে গিয়ে নিজের পেশা সংবাদ পাঠ থেকে দূরে সরে গিয়েছে।
সবে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে ‘গৌরী এলো’। সিরিয়াল সম্পর্কে অঙ্কিতা আরো জানান, পর্দায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে সবসময় পূজার্চনার পরিবেশ। আনন্দী নাস্তিক না হলেও এত পুজোর ঘটাও তার পছন্দ নয়। আনন্দী চায় সংসার সামলে নিজের পছন্দের পেশার কাছে ফিরতে।
গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম হয় অঙ্কিতার মেয়ে আরুণ্যার। গুয়াহাটিতে এক নার্সিংহোমে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। লকডাউনের আগেই গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। লকডাউন শুরু হতে আটকে পড়েছিলেন ওখানেই। তবে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অঙ্কিতা।
এতদিন ধরে ছোট্ট মেয়ের সমস্ত কাজকর্ম নিজে হাতেই করেছেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ে ফিরতে হলে তো আর ছোট্ট মেয়েকে সেটে নিয়ে আসতে পারবেন না। তাই শ্বশুর শাশুড়ির কাছেই আরুণ্যাকে রেখে কাজে আসেন অঙ্কিতা। এত ছোট মেয়েকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও কাছছাড়া করতে মন কাঁদে মায়ের।
তবুও এতদিন পর কাজে ফিরতে পেরে খুশি অঙ্কিতা। বাড়িতে থাকতে থাকতে যেন হাঁফ ধরে গিয়েছিল। জানান, এর আগেও বেশ কিছু কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো চরিত্রই পছন্দ হয়নি অঙ্কিতার। শেষমেষ আনন্দীর সঙ্গেই নিজের মিল খুঁজে পেলেন তিনি।