বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক বড় রায় ঘোষণা করেন। বেআইনিভাবে চাকরিতে ঢোকার অভিযোগে এদিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও তাঁকে বেতন ফেরত দেওয়ার ঘোষণা করেন অভিজিৎ বাবু। হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি, সেই সময় এক অবাক করা মন্তব্য করে বসলেন ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া।
উল্লেখ্য, এই বিদ্যালয়তেই চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। এদিন রঞ্জনা দেবী জানান, “অঙ্কিতা ভালো শিক্ষিকা ছিলেন।” ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিল অঙ্কিতা। এদিন সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করে রঞ্জনা দেবী জানান, “অন্যান্য শিক্ষিকাদের মতই ছিলেন অঙ্কিতা। রোজ স্কুল আসার পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর। অন্যান্য কাজে হাত লাগাতেন এবং সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলতেন।”
এরপর পরেশ কন্যার চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রধান শিক্ষিকাকে। সেই বিষয়ে তিনি জানান, “বর্তমানে আমি সংবাদমাধ্যম থেকে এই খবর প্রসঙ্গে জানতে পেরেছি। তবে এখন স্কুল ছুটি রয়েছে, তাই কারো সাথে কোন কথা হয়নি। এরপর যেরকম সরকারি নির্দেশ আসবে, সেইমতো আমরা ব্যবস্থা নেব। এক্ষেত্রে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সকল সিদ্ধান্ত নেবে।”
প্রসঙ্গত, নিজের মেয়েকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারী ও তার কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আজ সেই শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে জানান, “বর্তমানে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো অঙ্কিতা অধিকারীকে। নিজেকে আর শিক্ষক হিসেবে দাবি করতে পারবে না অঙ্কিতা। এমনকি স্কুলে ঢুকতেও পারবে না সে। এতদিন পর্যন্ত পাওয়া সমস্ত বেতন অঙ্কিতাকে ফেরত দিতে হবে।” এ বিষয়ে তাকে দুটি কিস্তিতে টাকা ফেরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
অভিযোগ, 2017 সালের এসএসসিতে প্রথম মেধা তালিকার 20 জনের মধ্যে নাম না থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় তালিকায় আচমকাই নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয় অঙ্কিতার। এক্ষেত্রে, ববিতা সরকার নামের এক চাকরিপ্রার্থীর নাম প্রথম লিস্টে থাকলেও তাকে দ্বিতীয় তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়। এদিনের হাইকোর্টের রায়ের পর অবশ্য স্বভাবতই খুশি দেখা যায় মামলাকারিণীকে। আর এর মাঝে ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার এহেন সবাই অনেক হয়ে যান।