বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভয়াবহ দুঃসংবাদ অঙ্কুশ হাজরা (ankush hazra) ও ঐন্দ্রিলা সেনের (oindrila sen) জীবনে। দীর্ঘ ১০ বছরের ছায়াসঙ্গীকে হারালেন অঙ্কুশ। গত মঙ্গলবার রাতে কাঁকুড়গাছির বাড়িতে অভিনেতার ব্যক্তিগত সহকারী পিন্টু দের (pintu dey) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার সকালেই ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই দুঃসংবাদ।
পিন্টু দের পরিবার সূত্রে খবর, টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হত তাঁকে। পুলিস সূত্রে খবর, গত দেড় মাস ধরে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা তুলে অজ্ঞাত কাউকে পাঠানো হয়েছে। অবসাদের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিসের অনুমান।
ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে পিন্টু দে কে সকলে ‘বাপ্পাদা’ বলেই চিনতেন। অঙ্কুশের বক্তব্য, এসব কিছুই তিনি জানতেন না। এমনকি তাঁর কাছ থেকেও ধার শোধের জন্য কয়েকবার টাকা চেয়েছেন পিন্টু। দিয়েওছেন অঙ্কুশ। অভিনেতার কথায়, অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন বাপ্পাদা। এসমস্ত কিছু ঘুণাক্ষরেও টের পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতেন তিনি।
গত মঙ্গলবার দেহ উদ্ধার করার পর পোস্টমর্টেম হয়। তারপর বুধবার শেষকৃত্য হয় পিন্টু দের। খবর পাওয়া মাত্রই তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলা। পুলিস সূত্রে খবর, সাইবার ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন পিন্টু দে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পিন্টুর মোবাইল ফোনও।
https://www.instagram.com/p/CL7S5jEs5-p/?igshid=1fq0slngfcol5
আচমকা এমন খবরে কার্যত বিধ্বস্ত অঙ্কুশ। বাপ্পাদার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে এক আবেগঘন বার্তা লিখেছেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, ‘আজ আমি আমার সবথেকে কাছের একজন মানুষকে হারালাম। বাড়ির ভেতর যেমন মা বাবা আমার খেয়াল রাখে বাড়ির বাইরে এই মানুষটি আমাকে আমার মা বাবার মতো খেয়াল রাখতো।’
https://www.instagram.com/p/CL7Y2JAFrLP/?igshid=b20tllc5ezt8
অঙ্কুশ আরো লেখেন, ‘১০ বছরের এই পথ চলা কোনোদিন ভুলবো না। যেখানেই থেকো ভাল থেকো বাপ্পাদা। তবে আমাকে এইভাবে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অভিমান সারাজীবন করব তোমার উপর। শুটিংয়ে সময় মতো ওষুধ খাবো কিনা আর জানিনা। সময় মতো জল খাবো কিনা জানিনা। ছোট্ট টাওয়েল দিয়ে আমার শরীরের ঘাম কে মুছিয়ে দেবে জানিনা। এইভাবে অভ্যেস খারাপ করে দিয়ে চলে গেলে এর জন্য ক্ষমা করব না। জানি সম্ভব না তাও পারলে ফিরে এসো।’