বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুরে (Durgapur Incident) বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীর গণধর্ষণ মামলায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ নাসির উদ্দিন। এই নিয়ে মত ৪জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে এখনও পঞ্চম অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে জোর কদমে।
কীভাবে ঘটেছিল সেই রাতে? (Durgapur Incident)
ঘটনা (Durgapur Incident) সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে খাবার আনতে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন দুই ডাক্তারি পড়ুয়া। অভিযোগ, তখনই তাঁদের পিছু নেয় তিনজন যুবক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ছাত্রী ও তাঁর সহপাঠী দৌড়তে শুরু করেন। সহপাঠী কোনোমতে পালিয়ে গেলেও ছাত্রীকে ধরে ফেলে ওই তিন যুবক।
অভিযোগ, অভিযুক্তরা পরানগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে। সেখানেই তাঁর উপর নারকীয় নির্যাতন করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে আরও দু’জন আসে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। তাঁদের দেখে প্রথমে তিনজন পালিয়ে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে এসে ফের ভয় দেখায় তাঁকে। শুধু তাই নয়, তাঁরা নির্যাতিতার মোবাইল ফোন থেকে তাঁর সহপাঠীকে ফোন করে ডেকে আনে এবং টাকার দাবি তোলে।
দ্রুত তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার একে একে চারজন
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। শনিবার রাতেই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন- অপু বাউড়ি (২১), ফিরদৌস শেখ (২৩) ও শেখ রিয়াজউদ্দিন (৩১)। প্রত্যেকেই দুর্গাপুরের বিজড়া এলাকার বাসিন্দা।
রবিবার রাতে ধরা পড়ে চতুর্থ অভিযুক্ত শেখ নাসির উদ্দিন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন, যা আগেই কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই ফোন থেকেই সূত্র ধরে একে একে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিশ। তবে পঞ্চম অভিযুক্ত এখনও অধরা।
পঞ্চম অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি জারি পুলিশের
পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্চম অভিযুক্তের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, “অন্যদের জেরা করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। পঞ্চম ব্যক্তির অবস্থান চিহ্নিত করা গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তাকেও ধরতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।”
আরও পড়ুনঃ ১৪ মাসের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! প্রতিবেশীর নরকীয় কাণ্ডে কাঁপল ত্রিপুরা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
এদিকে এই ঘটনার (Durgapur Incident) পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে। কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ও আশপাশে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে নির্যাতিতার বাবা মেয়েকে নিয়ে রাজ্য ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই বাংলা মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়।”