বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ভারতের (India) সাথে বিতর্কের আবহে খবরের শিরোনামে রয়েছে মলদ্বীপ (Maldives)। এদিকে, ভারতের সাথে সম্পর্কের অবনতির জেরে পর্যটন থেকে শুরু করে শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। এমতাবস্থায়, সেখানে আরও একটি সঙ্কট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মলদ্বীপে পানীয় জলের সঙ্কট প্রকট হয়েছে। এমতাবস্থায়, এই বিপদে সাহায্যের জন্য তারা ফের একবার শরণাপন্ন হয়েছে চিনের।
এদিকে, মলদ্বীপে চলা জলের ঘাটতি দূর করার জন্য চিন সরকারের তরফে তিব্বতের হিমবাহ থেকে প্রাপ্ত ১,৫০০ টন পানীয় জল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, এই সাহায্য মলদ্বীপকে করে আসা চিনের ধারাবাহিক সহায়তার একটি অংশ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, মলদ্বীপ সরকারের তরফে এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, চিন থেকে আসা পানীয় জলের শিপমেন্ট ইতিমধ্যেই ওই দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মলদ্বীপে পাঠানো জল হিমবাহ অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ফ্রোজেন ওয়াটার থেকে উৎপন্ন হয়েছে। ওই জল এমনিতেই স্বচ্ছতা, পরিচ্ছন্নতা এবং খনিজ সমৃদ্ধির জন্য পরিচিত। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিব্বতের ওই অঞ্চলটি উচ্চমানের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের জল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। আর সেই জলই পাঠানো হয়েছে মলদ্বীপের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: “ভারতের সাথে….”, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে চাপে পড়ে সুর নরম ট্রুডোর
এদিকে, চিনপন্থী মুইজ্জুর দেশ মলদ্বীপে চিনের সহায়তার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ইতিমধ্যেই চুক্তির মাধ্যমে চিন মলদ্বীপকে আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম এবং সামরিক সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়াও, চিনের গবেষণার জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং-৩ নিয়েও চুক্তি হয়েছে। যেটিকে চিনের গুপ্তচর জাহাজ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে এবং ওই জাহাজটি সম্প্রতি মলদ্বীপে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সামরিক ক্ষেত্রে জয়জয়কার ‘আত্মনির্ভর ভারতের’! কামাল দেখাল “মেড ইন ইন্ডিয়া” Mark 1A Fighter Jet
সাহায্য করেছিল ভারত: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ২০১৪ সালেও এই একইভাবে জলের সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিল মলদ্বীপ। সেইসময়ে তারা ভারতের কাছে সাহায্যের অনুরোধ চেয়েছিল। এদিকে, এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই, ভারতীয় বিমান বাহিনীর মাধ্যমে জলের প্রথম শিপমেন্ট হিসেবে ৩৭৫ টন পানীয় জল ম্যালেতে পৌঁছে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এরপরে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে INS দীপক এবং INS সুকন্যার মাধ্যমে আরও ২,০০০ টন পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, মূলত অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ভৌগোলিক কারণে এবং ক্রমান্বয়ে চলা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভূগর্ভস্থ জল এবং পানীয় জলের চরম ঘাটতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে মলদ্বীপকে। তবে, এবার তারা এই সমস্যার সমাধানের জন্য সাহায্য চাইল চিনের কাছে।