বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কবলে পড়ে প্রাণ হারাল রাজ্যের (West bengal) আরও এক চিকিৎসক। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন শিশির মন্ডল। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিতসারত অবস্থায় ছিলেন তিনি। সোমবার রাত ৮ টায় তাঁর মৃত্যু হয়। তবে করোনার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
মহামারি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আক্রান্তদের চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন চিকিৎসা কর্মীরা। দেশবাসীকে সুস্থ করার লক্ষে তারা অবিচল রয়েছেন। কিন্তু তারই মধ্যে অনেক চিকিৎসক, নার্স করোনায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের সঠিক পদ্ধতিতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এবং সম্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে। প্রাণও হারাচ্ছেন তারা। পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কয়েকজন চিকিৎসা কর্মীর দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর মধ্যে ফের একজন চিকিতসকের মৃত্যু ঘটল।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ শিশির মন্ডলের শরীরে কিছুদিন আগেই করোনা ভাইরাসের কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। টেস্টের রিপোর্ট আসলে জানা যায়, তিনি করোনা পজেটিভ। সেই কারণে গত ১৪ ই এপ্রিল তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হওয়ায় এবং শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবন্নতির কারণে গত ১৭ ই এপ্রিল তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু টানা ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষে হার মেনে নেয় শিশির বাবু। তবে করোনার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।
তবে একাংশ চিকিতসকের মতে মৃত শিশির বাবু কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেননি। কিন্তু কিভাবে তিনি করোনা আক্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি যদি কোন করোনা আক্রান্ত কিন্তু উপসর্গ বিহীন মানুষের সংস্পর্শে এসে থাকে, তাহলে সেটা মুসকিল হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে, তবেই এই উপসর্গ বিহীন কিন্তু করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা যাবে।