বাংলাহান্ট ডেস্ক : তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের আসল রূপ, যা পাশবিক বললেও কম বলা হবে। কলেজেরই এক আইনৈর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতার। আর এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হতেই সামনে আসছে একের পর এক বিষ্ফোরক অভিযোগ। জানা গিয়েছে, কলেজে বেশ ‘মার্কামারা’ ভাবমূর্তিই ছিল ধৃত মনোজিতের। একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে আগেও তিনি অশ্লীল আচরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর এবার সামনে এল এক ভয়াবহ ঘটনার বিবরণ।

কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) মনোজিতের আরেক কীর্তি ফাঁস
নির্যাতিতার আগে ওই কলেজেরই (Kasba Law College) আরেক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মনোজিতের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে কলেজের এক পিকনিকে মনোজিৎ তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন বলে অভিযোগ এনেছেন ওই ছাত্রী। এবিপি আনন্দের কাছে তিনি জানিয়েছেন, সেদিন কীভাবে মত্ত অবস্থায় তাঁর উপরে চড়াও হয়েছিলেন প্রাক্তন TMCP নেতা। শুধুমাত্র ভাগ্যের জোরেই সেবার বেঁচে ফিরতে পেরেছিলেন ওই ছাত্রী।
যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আরেক ছাত্রীর: ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, ২০২৩ সালে কলেজ (Kasba Law College) পিকনিকে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন মনোজিৎ। তাঁর নির্দেশেই পিকনিকে রাখা হয়েছিল মদের ব্যবস্থা। ওই ছাত্রী ফোন রাখতে যেতেই শুনতে পান ঘরের ছিটকিনি আটকানোর আওয়াজ। আলো আসতেই বুঝতে পারে ওটা মনোজিৎ। ছাত্রী জানিয়েছেন, প্রচণ্ড মত্ত অবস্থায় ছিলেন মনোজিৎ। শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে এগোচ্ছিলেন তাঁর দিকে!
আরো পড়ুন : নতুন মোড়ে বাম্পার চমক! আরশির চিন্তা বাড়িয়ে নয়া ভিলেনের এন্ট্রি ‘তুই আমার হিরো’তে
কী জানালেন অভিযোগকারিনী: গা ঘিনঘিনে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, দাদা দরজা বন্ধ কোরো না, আমি বেরোবো। কিন্তু আমার কথা অগ্রাহ্য করে হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় ফোনটা। আমার হাত চেপে ধরে সে পেছনে ব্যালকনিতে ঠেলে নিয়ে যায়। আমার শরীরে যতটা জোর ছিল আমি ঠেলে সরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ও সরে না। গলার মধ্যে কামড়াতে শুরু করে, আমার শরীর নিয়ে খুব অশ্লীল মন্তব্য করে বুকের মধ্যে হাত দিয়ে ছিঁড়ে দেয় অন্তর্বাস’।
আরো পড়ুন : বিধানসভা ভোটের আগে মোদির ‘গেমপ্ল্যান’? বঙ্গ বিজেপির ভবিষ্যৎ নিয়ে আসছে বড় চমক
ওই ছাত্রী আরও অভিযোগ করেন, তাঁর পরিবারের নাম করে হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবার নাম বলে। আমার বোন কোন স্কুলে পড়ে, বোনকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাবে। ২০ মিনিটও লাগবে না মায়ের আতা পাতা মিটিয়ে দেবে। তারপরেই বলে, যদি এগুলো না চাস তাহলে যেভাবে আমি ছুঁচ্ছি, সেভাবে ছুঁতে দে’। অভিযোগকারী ছাত্রী (Kasba Law College) জানান, ৩০-৩৫ সেকেন্ডের জন্য তাঁর হুঁশ ছিল না। কিন্তু তার বেশি সময় যদি তিনি জ্ঞান হারাতে, তবে আজকের নির্যাতিতা হয়তো তিনিই হতেন বলে মন্তব্য করেন ওই ছাত্রী। তিনি জানান, সেবার ভাগ্যক্রমে দরজায় কেউ টোকা দিতে সে যাত্রা রেহাই পেয়েছিলেন তিনি।